প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া চতুর্থ ধাপে ৭০৩টি ইউনিয়ন পরিষদে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতা আগের তুলনা কমে এসেছে।’
শনিবার চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
এ সময় সিইসি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সহিংসতা এড়িয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শনিবারে ভোটে যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই ধাপে সহিংসতা আরো কমে আসবে।’
সিইসি বলেন, ‘চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ৬ হাজার ৭২৭টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অনিয়মের কারণে ৫১টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আরো কেন্দ্র স্থগিত করা হবে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ও দুঃখজনক ঘটনা ছাড়া পুরো ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭৯ জনকে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
ভোটের সময় আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘লোকের মাথায় বাড়ি না মেরে আইনের আশ্রয় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে ওঠা জরুরি। নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। আপনারা তা গ্রহণ করুন। ভোট শেষ হলেও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আছে। উচ্চ আদালত আছে। সহিংসতা সৃষ্টি না করে আইনের কাছে যান।’
কোনো প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও মাঠে রয়েছে। ভোট পরবর্তী সহিংসতাও যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ আছে কমিশন।’
নির্বাচনের মাঠে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন নিলিপ্ত ভূমিকা পালন করছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ইসি নির্লিপ্ত নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সহিংসতা হলেই মামলা করা হয়েছে। একজন এমপিকে এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে একজন এমপির প্রভাবের কারণে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় ১৬টি ইউপির ভোট পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ, মো. আবু হাফিজ, সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।