জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর র‌্যাঙ্কিং হচ্ছে

Slider শিক্ষা

 

2016_05_06_23_04_37_LGwccPM0BF5lsXLKde5iyZV3xEwXHX_original

 

 

 

 

 

ঢাকা: সস্তা নোট ও গাইড বই থেকে শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন বইপাঠমুখি করতে টেক্সট বই রচনার একটি প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। কলেজগুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতার ধারা সৃষ্টি করতে পারফরমেন্সভিত্তিক কলেজ র‌্যাংকিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।

শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে সরকারি বিএম কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বরিশাল বিভাগের সব কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যবস্থা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

তিনি জানান, ২০ মে ঢাকায় শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যাংকিংয়ে নির্বাচিত কলেজগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। আমরা যেসব কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, তা বাস্তবায়িত হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর একটি গতিশীল, মানসম্পন্ন, বিকেন্দ্রীকৃত উচ্চশিক্ষার মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠবে; অবসান ঘটবে সকল অনিশ্চিয়তা, শঙ্কা ও বিতর্কের।

 

দেশে ৬৮৫টি অনার্স ও মাস্টার্স কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ১২৩টি মহিলা কলেজ। ৩৬৪টি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২ হাজার ১৯১টি কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। যেখানে ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষক পাঠদান করছেন। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রের শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

হারুন-অর রশিদ বলেন, ‘৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্রসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি ও কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে  ১৩শ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। আশা করি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে এ দুটি প্রকল্প খুবই সহায়ক হবে। এছাড়া, কলেজ শিক্ষকদের ট্রেনিং প্রোগ্রাম জোরদার করা হয়েছে।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল, নদী-উপকূলীয় এলাকা, হাওড়, দুর্গম পাহাড়েও শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে মন্তব্য করে উপাচার্য বলেন, ‘দেশের লাখ লাখ অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার একমাত্র আশা-ভরসার জায়গা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলে এদের সিংহভাগই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ লাভ করতে পারতো না।’

উপাচার্য বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার বিস্তৃতি ঘটালেই যথেষ্ট নয়। এ সব লাখ লাখ তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে নিজেদের তৈরি করে শিক্ষাজীবন শেষে দেশ-জাতির উন্নয়ন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সে লক্ষ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এখন আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

সভায় বিভিন্ন কলেজের ১৭০ জন অধ্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *