উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঢাকার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সফররত দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। ঢাকা সফরের প্রথম দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে নিশা নিজেই টুইট বার্তা দিয়েছেন। তিন দিনের সরকারি সফরে মার্কিন মন্ত্রী গতকাল ভোরে ঢাকায় পৌঁছান। দিনের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। দুপুরে বৈঠকটি শেষ হওয়ার পর টুইট বার্তাটি প্রকাশ করা হয়। তবে সরকারের তরফে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হয়নি। এদিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নিশা বিসওয়াল। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, সুজন সম্পাদক ড বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহসহ এশিয়া ফাউন্ডেশন, ইউনূস সেন্টার ও ইয়ুথ সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উগ্রপন্থিদের সহিংস আক্রমণের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন মার্কিন মন্ত্রী। এদের মোকাবিলায় সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কী উদ্যোগ নিতে পারে সেটিও জানতে চেয়েছেন তিনি। বৈঠকে অংশ নেয়া একটি সূত্র মানবজমিনকে বলেন, নিশার জিজ্ঞাসার জবাবে প্রত্যেকে নিজস্ব মতামত দিয়েছেন। জঙ্গি বা উগ্রপন্থিদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা যে দরকার সে বিষয়ে প্রায় অভিন্ন বক্তব্য এসেছে। চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পেতে রাজনৈতিক উদ্যোগ বা সমঝোতার বিষয়েও মতামত এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উগ্রপন্থিদের হাতে নিহত মার্কিন মিশনের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানসহ সামপ্রতিক সব চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি বিপদগামীদের সঠিক পথে আনার আলোচনাও শুরুর কথা বলা হয়েছে। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নিজে কোনো বক্তব্য না দিয়ে নিশা পরিস্থিতি জানতে আলোচনার টেবিলে কয়েকটি প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন উপস্থিত একাধিক প্রতিনিধি।
সন্ধ্যা অবধি ব্যস্ত সূচি, দূতাবাসে নিহত জুলহাজকে স্মরণ: বাংলাদেশ পরিস্থিতি জানতে জরুরি আলোচনায় তাকে পাঠানোর কথা আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এখানে তার সফরসূচির বিষয়েও মিডিয়া নোট দিয়েছিল ঢাকাস্থ দূতাবাস। নিশা আগে একাধিকবার ঢাকা সফর করেছেন। কিন্তু এবারে তার সফরটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে। বিশেষ করে উগ্রপন্থিদের সহিংসতা ঠেকানোর বিষয়ে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের বিষয়টি ঢাকাকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে এসেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা তাকে স্বাগত জানাতে সেভাবেই প্রস্তুত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ দিয়ে তার সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সেখানে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন। নিশার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, উপ-রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলিসহ দুজন স্টাফ অফিসার এবং দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা স্থায়ী হয় প্রায় এক ঘণ্টা। সেখানে মার্কিন মিশনের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানের হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন মন্ত্রী জানতে চেয়েছেন বলে বিবিসি বাংলার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন নিশা। সেখানেও তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সোয়া ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে আবারও পদ্মায় ফিরে মার্কিন প্রতিনিধি দল। সেখানে তাদের সম্মানে দেয়া পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যাহ্নভোজ হয়। ওই ভোজে যোগ দেন মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারাও। বিকালে মার্কিন মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে টাউন হল মিটিং করেন নিশা। সেখানে দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুলহাজ মান্নানের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় একাধিক টুইটার বার্তা দেন নিশা। বার্তায় লিখেন, ‘জুলহাজ মান্নান ছিলেন সাহসী ও ত্যাগী। তিনি যে চেতনার ধারক ছিলেন তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার অবদান বেঁচে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা আজ: সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন নিশা বিসওয়াল। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ হবে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কথা বলার সুযোগ পেতে পারেন নিশা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের হয়ে সচিবালয়ে যাবেন মার্কিন মন্ত্রী। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার সূচি নির্ধারিত রয়েছে।
সন্ধ্যা অবধি ব্যস্ত সূচি, দূতাবাসে নিহত জুলহাজকে স্মরণ: বাংলাদেশ পরিস্থিতি জানতে জরুরি আলোচনায় তাকে পাঠানোর কথা আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এখানে তার সফরসূচির বিষয়েও মিডিয়া নোট দিয়েছিল ঢাকাস্থ দূতাবাস। নিশা আগে একাধিকবার ঢাকা সফর করেছেন। কিন্তু এবারে তার সফরটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিস্থিতিতে। বিশেষ করে উগ্রপন্থিদের সহিংসতা ঠেকানোর বিষয়ে মার্কিন সরকারের উদ্বেগের বিষয়টি ঢাকাকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে এসেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা তাকে স্বাগত জানাতে সেভাবেই প্রস্তুত ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ দিয়ে তার সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সেখানে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন। নিশার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, উপ-রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলিসহ দুজন স্টাফ অফিসার এবং দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা স্থায়ী হয় প্রায় এক ঘণ্টা। সেখানে মার্কিন মিশনের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নানের হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে মার্কিন মন্ত্রী জানতে চেয়েছেন বলে বিবিসি বাংলার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন নিশা। সেখানেও তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় সোয়া ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে আবারও পদ্মায় ফিরে মার্কিন প্রতিনিধি দল। সেখানে তাদের সম্মানে দেয়া পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যাহ্নভোজ হয়। ওই ভোজে যোগ দেন মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারাও। বিকালে মার্কিন মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে টাউন হল মিটিং করেন নিশা। সেখানে দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুলহাজ মান্নানের বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় একাধিক টুইটার বার্তা দেন নিশা। বার্তায় লিখেন, ‘জুলহাজ মান্নান ছিলেন সাহসী ও ত্যাগী। তিনি যে চেতনার ধারক ছিলেন তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার অবদান বেঁচে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা আজ: সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন নিশা বিসওয়াল। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ হবে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কিছু সময় কথা বলার সুযোগ পেতে পারেন নিশা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের হয়ে সচিবালয়ে যাবেন মার্কিন মন্ত্রী। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার সূচি নির্ধারিত রয়েছে।