বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে চারটি চুতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শেখ হাসিনা এবং শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহর উপস্থিতিতে লেবুখালী সেতু নির্মাণে ঋণচুক্তিতে সই করছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম এবং কুয়েত ফান্ডের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াহাব আল-বদর। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তি সইয়ের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সহযোগিতা করতে দুই দেশের মতৈক্য হয়েছে। এক্সট্রিম ভায়োলেন্স ও টেররিজম মোকাবেলায় দুই দেশের স্ট্র্যাটেজির প্রচুর মিল আছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এক সঙ্গে কাজ করতে একমত হয়েছেন। চারটি চুক্তির মধ্যে রয়েছে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে লেবুখালী সেতু নির্মাণে ঋণের বিষয়টি। দক্ষিণের এই দুই জেলায় এই সেতুটি নির্মাণ হলে আর কোনো ফেরি থাকবে না। এই চুক্তির আওতায় লেবুখালীতে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণে দেড় কোটি দিনার (৫ কোটি ডলার) ঋণ দেবে কুয়েত সরকার। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম এবং এবং কুয়েতের পক্ষে কুয়েত ফান্ডের মহাপরিচালক আবদুল ওয়াহাব আল-বদর ঋণচুক্তিতে সই করেন। বিনিয়োগে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। কুয়েতের পক্ষে করেন দেশটির উচ্চশিক্ষাবিষয়কমন্ত্রী বদর হামাদ আল-ইসা। দুই দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্ট ইস্যুর বিষয়টি সহজ করতে চুক্তিটিতে সই করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান ও কুয়েতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী খালেদ সুলাইমান আল জারাল্লাহ। সামরিক ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান। কুয়েতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী খালেদ সুলাইমান আল জারাল্লাহ তার দেশের পক্ষে চুক্তিটিতে সই করেন।