প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শ্রমিকের মূল্যই তার সরকারের কাছে সবচেয়ে বড়। তাদের হাতের দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। তাদের কারণেই দেশ উন্নত হয়।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মে দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোয় স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রমিকদের কল্যাণে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা তৈরি পোশাককর্মীতের ন্যূনতম বেতন পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণের কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য বারগেইনিং এজেন্ট বলতে আমিই ছিলাম। শ্রমিকরা কিন্তু আমার কাছে দাবি নিয়ে আসেনি। আমি মালিকদের সাথে কথা বলে করে দিয়েছি। বেতনটা বৃদ্ধি করি।’
‘কথা রাখার জন্য’ পোশাক শিল্প মালিকদেরও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করলেও বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে মালিকদের সাথে দর-কষাকষির জন্য ট্রেড ইউনিয়ন নেই। মে দিবসের এই আলোচনা সভায় শিল্পের স্বার্থে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্কের উপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে দাবি-দাওয়া জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আমি নিজেই জানি, কী করতে হবে।’
মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমেরিকায় কোনো শ্রমিক অধিকারের অস্তিত্ব ছিলো না। তখন সেই আমেরিকার শিকাগো শহরে বুকের রক্তের বিনিময়ে সেই অধিকার আদায় করতে হয়। যারা ১৮৮৬ সালের ১ মে শ্রমিকের অধিকার আদায়ে শহীদ হন আমরা তাদের স্মরণ করছি।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করেন এই বলে যে, তার সব আন্দোলনে, সব উদ্যোগেই ছিলো শ্রমিকের স্বার্থ।
প্রধানমন্ত্রী একটি স্বাধীন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়তে শেখ মুজিবের একাগ্রতার কথা স্মরণ করে বলেন, সে সময় তিনি শ্রমিকের কর্মসংস্থান ও শিল্পকারখানা চালু করেছিলেন। তিনিই প্রথম পহেলা মে শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন শুরু করেন।
তার সরকারও বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।