ঢাকা: শিয়াপন্থিরা ইরাকের পার্লামেন্টে ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর পর পরবর্তী সহিসংতা প্রতিরোধে রাজধানী বাগদাদে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও বিক্ষোভকারীরা সুরক্ষিত গ্রিন জোনে ক্যাম্প বসিয়ে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এলাকাটিতে মার্কিন দূতাবাসসহ আরো বেশ কিছু গুরত্বপূর্ণ ভবন রয়েছে। তবে মার্কিন দূতাবাস এখন সুরক্ষিত বলে জানা গেছে।
জরুরি অবস্থা জারির পর বাগদাদের সবগুলো সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অপারেশন কমান্ড। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
তবে পরিস্থিতি ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে বলে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হায়দার আল আবাদি।
ইরাক টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সরকারের পুর্নগঠনের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা পতাকা উড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় ও চেয়ার ভাঙচুর করে। অনেক বিক্ষাভকারীকে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করতে দেখা যায়। এ সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া সংসদ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফুটেজে আরো দেখা যায় এক বিক্ষোভকারী বলছেন, ইরাকের ইতিহাসের নতুন যুগের সূচনা হলো। গত ১৩ বছর ধরে তারা আমাদের শোষণ করে আসছে, বলেন আরেক বিক্ষোভকারী।
কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর শনিবার (৩০ এপ্রিল) কট্টরপন্থী শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদরের সমর্থকরা গ্রিন জোনের ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
মোকতাদা আল সদর ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির ওপর মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের বরখাস্ত করে তাদের জায়গায় নিরপেক্ষ টেকনোক্র্যাটদের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো এ পরিবর্তনের বিরোধীতা জানিয়ে আসছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি পার্লামেন্ট এলাকা ত্যাগ করে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে বিক্ষোভ করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলা ও অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর অবস্থার পর নতুন এ রাজনৈতিক সংকট দেশটিকে আরো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।