ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে মোবাইল সিম নিবন্ধনের সুফল আসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
পুনঃনিবন্ধিত মোবাইল সিম দিয়ে সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর নামে চাঁদা দাবির পর ওই ব্যক্তিকে মাত্র তিন মিনিটেই শনাক্ত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ওই ব্যক্তির তথ্য সেই প্রতিমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারানা হালিম।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তারানা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের একজন প্রতিমন্ত্রী, ওনার নাম দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ওনারই এলাকার একজন চাঁদাবাজি করছিল। উনি আমাকে নম্বর দিয়ে জানালেন।
‘অন্য সময়ে অনেকে নম্বর দিয়েছেন, আমরা ওইভাবে ট্রেস করতে পারিনি। বাট নম্বরটা যার, সে রি-ভেরিফিকেশন করে ফেলেছে। রি-ভেরিফিকেশন করার কারণে তিন মিনিটের মধ্যে রিভেরিফাইড সিমে লেখা নাম, পিতার নাম, গ্রাম এবং তাকে যে ইনট্রডিউসড (শনাক্ত) করেছে তার নাম, পিতার নাম, গ্রাম- তিনটাই পেয়ে গেছি। তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে দিয়েছি।
ওই প্রতিমন্ত্রীর নাম না জানালেও তথ্যগুলো তিনি পুলিশে দিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তারানা হালিম।
নাম জানতে চাইলে বলেন, বলতে চাই না, উনি ইনফরমেশনটা দিতে চান কি না? তিনি আমাদেরই একজন প্রতিমন্ত্রী।
রি-ভেরিফাইড সিম না হলে এটা সম্ভব হতো না জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিকে গ্রাহকদের একটু হয়রানি হলেও সুফলটা মানুষ পাচ্ছে এবং পাবে।
টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানান, কিছু দিন আগে খুলনায় এক শিশুকে হত্যার পর এক নারী ঢাকায় চলে এসে মোবাইল ফোনে একজনকে কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতে বলেন। আর নম্বরটা ট্যাগ করে তাকে ওই দিনই ঢাকা থেকে ধরা হয়েছে।
মোবাইলের মাধ্যমে অপরাধ সংগঠন কমাতে এবং সিমের গ্রাহক নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরুর পর ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ কোটি ৭৯ লাখ সিম পুনঃনিবন্দিত হয়েছে।
আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চললেও ওই দিনই জানা যাবে সময় আর বাড়বে কি না।