অবসরের পর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে রায় লেখার অপেক্ষায় থাকা ১৬১ মামলার ফের শুনানি হবে। এছাড়া ফের শুনানির তালিকায় উঠছে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হকের ৭টি মামলা। আগামী ২রা মে আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় ১৬৮টি মামলা অন্তর্ভুক্ত হবে। তাদের লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় মামলাগুলো আবার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর পরপরই প্রস্তুত করা হয়েছে এসব মামলার পেপারবুক। এসব মামলার বেশির ভাগ রায় লেখার কাজ শেষ করেছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু তার লেখা রায় গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় প্রধান বিচারপতি মামলাগুলো পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার বিভাগ থেকে জানা যায়, ২৬ শে এপ্রিল এসব মামলার পুনঃশুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৫ সালের এক অক্টোবর আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার সময় ১৬১টি মামলার রায় লেখার দায়িত্ব ছিল এই বিচারপতির। এসব মামলা তার অবসরে যাওয়ার আগেই আপিল বিভাগ বিভিন্ন সময়ে শুনানি গ্রহণ সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত আদেশও জানিয়ে দেন। শুধু পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার কাজ বাকি ছিল। মামলাগুলোর রায় অনেকদিন তিনি না লিখে কালক্ষেপণ করছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা গত ১৭ই জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে অবসরের পরে রায় লেখাকে সংবিধানপরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। ওই বাণীতে তিনি বলেন, কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের পর দীর্ঘদিন সময় ধরে রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধানপরিপন্থী।