সরকারের ইশারার বাইরে দেশে গুম-খুন হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, গুম-খুনের সঙ্গে নাকি বিএনপি-জামায়াত জড়িত। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি বসে বসে ঘোড়ার ঘাস কাটেন? পুলিশ বাহিনী কি করে? এসব চাপাবাজি জনগণ ভালভাবেই বুঝেন, সরকারের উদ্দেশ্য কি? কোন ঘটনা ঘটলেই সরকার বলে দেয়- বিএনপি জামায়াত জড়িত। ধরা পড়ার পর দেখা যায় আসলে তা নয়।
এগুলো দৃশ্যমান মিথ্যা কথা। সরকারের ইশারার বাইরে এসব ঘটনা হয় বলে জনগণ মনে করে না। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের রোগমুক্তি ও সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম মাস্টারের রুহের মাগফিরাত কামনায় আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকারের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা বিরোধী দলের ওপর চাপানো জনগণ মেনে নেয় না। গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষার জন্য যারা জীবন দিলেন আমরা যারা আছি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কাজ করলে তাদেও আত্মা শান্তি পাবে। দলের জন্য যারা রক্ত ঝরিয়ে চলে গেলেন দল জানে না তাদের জন্য করার কিছু আছে কিনা।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, সরকারের এত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কোথায় গেল। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। তাহলে জনগণ বিদ্যুৎ পায় না কেন? ঢাকা শহরের বিদ্যুতের অবস্থা যদি এই হয় তাহলে গ্রামগঞ্জের অবস্থা কি তা সহজেই অনুমান করা যায়। কৃষকেরা বিদ্যুতের জন্য সেচ কাজ করতে পারে না। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের অপকর্মের হাত থেকে বাঁচতে হলে জনগণকে মোকাবিলা করতে হবে।
সেই দায়িত্ব বিএনপিকেই নিতে হবে। পদের জন্য গলা না শুকিয়ে জনগণের জন্য গলা শুকান। আন্দোলনে রাস্তায় নামুন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা অত্যাচারী সরকারের অধীনে রাজনীতি করছি। দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আন্দোলন চলছে। তরিকুল ইসলাম একজন আপদমস্তক রাজনীতিবিদ। আমরা দোয়া করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবেন। মিলাদ মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবু আতিক আল হাসান মিন্টুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।