প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘরের ভেতরে নিরাপত্তা দেয়া যাবে না। এখন আইজি বললেন, তিনি নিরাপত্তা দিতে পারবেন না। যার যার নিরাপত্তা তাকেই নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে এখন প্রশ্ন এসে যায়, রাষ্ট্রের মালিক জনগন কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে? এটা এখন জাতীয় সমস্যা হয়ে গেছে।
এদিকে ধর্মীয়, গোষ্ঠীগত সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ ও গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে তৎপর উগ্র গোষ্ঠীগুলো।
বিশ্লেষকদের ধারণা, অপেক্ষাকৃত সহজ নিশানায় একের পর এক হামলা ও গুপ্তহত্যার মধ্য দিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেওয়ার পাশাপাশি দেশে বড় ধরনের নাশকতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চাইছে জঙ্গিরা।
আন্তর্জাতিক দুই জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট) ও আল-কায়েদার মতাদর্শ অনুসরণকারী দেশীয় এসব জঙ্গি গত ১৪ মাসে অন্তত ৩৪টি হামলা করেছে বলে সন্দেহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৫ জন। আহত ব্যক্তির সংখ্যা ১২৯।
এসব ঘটনার মধ্যে ১৫টির ‘দায় স্বীকার’ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস। আর আটটি ঘটনার ‘দায় স্বীকার’ করেছে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম।
ঘটনা যে বা যারাই ঘটাক, আমাদের দাবি, আমরা নিরাপত্তা চাই। অস্বাভিব মৃত্যু চাই না। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।
ড. এ কে এম, রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম