বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৩ জানুয়ারি থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে ব্রাজিলে ৯১ হাজার ৩৮৭ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ জন মারা গেছে।
সাম্প্রতিক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন, জিকা ভাইরাসই মাইক্রোসেফ্যালির জন্য দায়ী। এতে নবজাতকের মস্তিষ্কে বড় ধরনের ক্ষতি হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও গুইলাইন-ব্যারে সিনড্রোমের মতো স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে পক্ষাঘাত এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা চিকিৎসা বের হয়নি। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চামড়ায় ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং জ্বর অথবা অস্থিতে ব্যথা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২ হাজার ৮৪৪ জনই অন্তঃসত্ত্বা নারী।