সুইফট সফটওয়্যার হ্যাকড করেই রিজার্ভ চুরি

Slider অর্থ ও বাণিজ্য
download_208261
সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশনের (সুইফট) প্ল্যাটফর্ম হ্যাকড করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ব্রিটিশ একটি প্রতিষ্ঠান।

সুইফট কর্তৃপক্ষও বিষয়টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে স্বীকার করেছে।

বিশ্বের প্রায় ৩ হাজার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন সফটওয়্যারের মাধ্যমে যুক্ত করে সুইফট। ব্রিটিশ কোম্পানি বিএই সিসটেমস বলছে, সুইট প্ল্যাটফরম ব্যবহার করেই হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

পরে এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে সুইফট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনা সঠিক বলে স্বীকার করে। সুই্ফটের মুখপাত্র নাতাশা দেতেরান বলেছেন, তাদের ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারে একটি ম্যালওয়্যার ঢুকানো হয়েছিল। ঘটনাটি তারা পরে নিশ্চিত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ওই ম্যালওয়্যারটি অকার্যকর করতে আজ সোমবার ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার আপডেট করা হবে। সুইফটে সংযুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সতর্ক করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে নেওয়া হয়।

শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার এরইমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ফিলিপাইনে যাওয়া কিছু অর্থ উদ্ধার হলেও বাকিটা এখনও নিশ্চিত নয়।

এ ঘটনায় ১৫ মার্চ গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। দুজন ডেপুটি গভর্নরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় সরকার। ওই দিনই সরকার এই ডলার চুরি যাওয়ার বিষয়টি তদন্তের জন্য সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন এবং ৭৫দিনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

ড. ফরাসউদ্দিন এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে সেই প্রতিবেদনে কি রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *