রাষ্ট্রের মালিক নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে নিরাপত্তার অধিকার মূখ্য। তারপর অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থান সহ বাকী সব। রাষ্ট্রের মালিক জনগন তাদের ম্যান্ডেট দিয়ে একটি সরকার গঠন করার পর ওই সরকার নাগরিকের চাহিদা পূরন করবে এটা সাংবিধানিক কথা। কিন্তু বিধি বাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর খুব কম সরকারই বৈধ ছিল। সরকার বৈধ বা অবৈধ যাই হউক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে নাগরিকের প্রতি কর্তব্য পালন করবে এটাই মুল কাজ।
ইতিহাস বলে বর্তমান সরকার জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে ক্ষমতায় আসে নি। তবে সরকার বৈধ, সাংবিধানিক ভাবে। তাই সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সরকার ইচ্ছে করেই অনেক কাজ উল্টো করছে। সরকার কোন নাগরিকের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে আছে জেনে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপদগামী কিছু সদস্যদের সঙ্গে অপরাধীদের আঁতাত থাকার কারণে খুন খারাপি সহ অন্যান্য অপরাধ বাড়ছে। ফলে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জাল ভোট ও কেন্দ্র লুট হওয়ার ফলে তৃনমূল পর্যায়ে সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষৎ-এ মানুষ আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। জনগনও ভোট দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এর চেয়ে বরং ভাল হয় দলীয় মনোনীত ব্যাক্তিকে জনপ্রতিনিধি ঘোষনা করা। মনে রাখা উচিত, স্থানীয় সরকারের একজন জনপ্রতিনিধিও সরকার দলীয় না থাকলে সরকারের ক্ষমতা ছাড়তে হয় না। তাই তৃনমুল পর্যায়ের ভোটগুলো সুষ্ঠু হওয়া উচিত ছিল।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মানুষ বাঁচলে উন্নয়ন দরকার। না বাঁচলে উন্নয়ন হবে কার? আর বেঁচে থাকা মানুষের মুল অধিকার ম্যান্ডেট দেয়ার অধিকার। তাও যদি না থাকে তবে নাগরিকের বেঁচে থাকাও দুস্কর। তাই অবিলম্বে সরকারের উচিত মৌলিক সমস্যা গুলো সমাধান করে উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম