রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে এয়ারটেল এর সচেতনতা মূলক র্যালি শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহবান জানিয়ে এ র্যালির আয়োজন করা হয়। প্রেসক্লাব থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি গিয়ে র্যালি শেষ হয়।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, প্রথমদিন তিন ঘণ্টা অকার্যকর থাকার দুই একদিন পর আবার কিছু সময় অনিবন্ধিত সিম অকার্যকর থাকবে। এভাবে এক সময় সিমটি একেবারেই অকার্যকর হয়ে যাবে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সাড়া কেমন পাচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত দু সপ্তাহে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। দুই সপ্তাহে নিবন্ধনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের টার্গেট পূর্ন হবে। আজ (রোববার) পর্যন্ত আমরা সাত কোটি অতিক্রম করেছি।
তারানা হালিম বলেন, আমাদের হিসেব মতে ১৩ কোটির ওপরে সিম হোল্ডার আছে। যারা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে ও সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ডে সিমগুলো ব্যবহার করে তারা এই প্রক্রিয়ার কারণে ঝরে পড়বে।
জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগনকে ধন্যবাদ জানাই। তারা এই প্রক্রিয়ার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের ওপর আস্থা স্থাপন করে রাষ্ট্রে নিরাপত্তার জন্য জরুরি বিষয় ব্যাপক ভাবে সাড়া দিয়েছেন।
তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকরা বিদেশে যারা বসবাস করে তাদের জন্য আজকে একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্তত পক্ষে একবছর তাদের সিমটি অন্য কোথাও যেন বরাদ্দ না দেওয়া হয়। যেন তারা এক বছরের মধ্যে সিমটি নিবন্ধন করে নিতে পারে।
তিনি বলেন, জাতীয় পত্রে ভুল থাকার কারণে যারা নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে দিয়েছেন, তাদের ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে কোনও অসুবিধা হবে না। তারা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে যে আবেদন করেছেন, সেই আবেদনের নাম্বার দিয়ে সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। জাতীয় পত্র সংশোধনের জন্য তিনি যে আবেদন করেছেন সেই আবেদনের প্রমানপত্র নিয়ে গেলে সিম নিবন্ধন করা যাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, এয়ারটেল এর সিইও পিডি শর্মা ও রুবাবা দৌলা মতিনসহ এয়ারটেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
র্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পৌঁছালে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি সকলকে সিম নিবন্ধনের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সিম নিবন্ধন শুরু হয়।