গাজীপুর অফিস: নির্বাচনের আগের রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে দুই ঘন্টা করে ভোট গ্রহনকারী সরকারী লোকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। ভোটের দিন প্রথমেই কেন্দ্র থেকে প্রতিপক্ষের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারার উৎসব হয়েছে। কোথাও কোথাও সাধারণ ভোটাররা চেয়ারম্যান পদের ব্যালটও পায় নি। শুধু মেম্বার পদের দুটি ব্যালটে সিল মেরেছেন তাও প্রকাশ্যে মারতে হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে সিল মারতে গিয়ে কোন কোন কেন্দ্র ৯৭ ভাগ ভোটও পড়েছে। এই অবস্থায় দুপুরের দিকে নৌকা ছাড়া অন্য অনেক প্রতিদ্বন্ধিরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে নিজ ঘরে চলে গেছেন। সরেজমিন গাজীপুর জেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গ্রামবাংলার প্রতিনিধিরা যে সকল দৃশ্য দেখেছেন সব তথ্য এক সাথে করে তৈরী করা হল এই প্রতিবেদন। সরেজমিন জানা যায়, ভোটের আগের দিন প্রায় সব কটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা প্রতিটি কেন্দ্রে অনেকক্ষন ধরে গোপন বৈঠক করেছেন। তারপর সকালে জাল ভোট ও কেন্দ্র লুটের ঘটনা ঘটিয়েছেন। এই ধরণের ঘটনা হয়েছে অধিকাংশ ইউনিয়নে। দুুপুরের দিকে নৌকা ছাড়া অন্যান্য অনেক প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনও করেছেন। প্রতিদ্বিন্ধি প্রার্থী না থাকায় ঠান্ডা মাথায় অবশিষ্ঠ ভোট গুলো নিজেরাই মেরে ভোট শেষ করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। চলমান ঘটনা সম্পর্কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকৈ জানানো হলেও কোন প্রতিকার হয়নি। ফলে লুটপাট ও জাল ভোটের মাধ্যমে শেষ হয় গাজীপুর জেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট। জেলার ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী অঘটন করে অস্বাভাবিক ফলাফল দিয়েছে শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি, কাওরাইদ ও প্রহলাদপুর ইউনিয়ন। অস্বাভাবিক ফলাফল হওয়ার কারণে শেষ রোল নম্বর প্রাপ্ত প্রার্থীরাও প্রথম হয়েছেন। এই ফলাফলে হতভাগ হয়েছেন ভোটাররাও। প্রহলাদপুর ইউনিয়নে একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্ত্রীর সামনেই তার ভোট নৌকায় সিল মারা হয়েছে।