প্রথম দুই দফা থেকে সাধ্যমত ভাল নির্বাচনের শুভ ইঙ্গি আসছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও নির্বাচন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ ওই শুভ ইঙ্গিত বহন করে।
খবরে বলা হয়েছে, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখতে চান না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল নির্বাচন কমিশনকে এমন বার্তাই পৌঁছে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসি। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেন বাড়াবাড়ি না করে, সেজন্য দলটিকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও ওই জেলার দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে কমিশন। ইসি সূত্র জানায়, গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি নির্দেশনা পাঠায় নির্বাচন কমিশন। ইসি’র উপ-সচিব শামছুল আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সু্ষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদকে প্রত্যাহার করে তার স্থলে উপযুক্ত একজনকে পদায়ন করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো। শামছুল আলম স্বাক্ষরিত একই ধরনের দুটি চিঠি পাঠানো হয় পুলিশের মহাপরিদর্শককে। এতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ও কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হককে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার সময় পাশের গ্রাম সদর উপজেলার বনকর আমুনা গ্রামের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জয়দেবপুর থানা পুলিশ দুটি মোটরসাইকেল জব্দ ও এক নারীসহ দুজনকে আটক করে। এরপর থেকে ওই এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। থেমে গেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাও। নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও স্বজনদের অভিযোগ, নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল তৃতীয় ধাপে সারা দেশের ৬২০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে গাজীপুর সদরের ১টি, শ্রীপুর উপজেলার ১১টি ও কাপাসিয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এসব ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েকজন প্রার্থী এই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এর প্রেক্ষিতেই তাদের প্রত্যাহার করা হতে পারে।
সুতরায় আশা করা যায়, তৃতীয় ধাপের নির্বাচন তুলনামূলকভাবে সুষ্ঠু হতে পারে। তবে জাতির এই আশাবাদ কতটুকু পূরন হয় তা সময়ই বলে দেবে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম