বিষয়টি সম্পর্কে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ইসি সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
এর আগে ইউপি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর বার্তায় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ সিইসিকে জানায়,সরকার প্রধান কোনো বিশৃঙ্খলা বা অনিয়ম দেখতে চায় না।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেছি। দলটির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, তারা সুন্দর নির্বাচন চান। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন সুন্দর নির্বাচন হয়। এ নির্দেশনাকে আমরা স্বাগত জানাই।
তবে দলটির প্রতিনিধিদের আমরাও বলেছি, তাদের যে নেতাকর্মী রয়েছে, তারা যেনো নির্বাচনে বাড়াবাড়ি না করে। যেন কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে না জড়িয়ে পড়ে। যেকোনো বিশৃঙ্খলায় মাঠকর্মীদের বিরুদ্ধে যেন দলীয়ভাবেও ব্যবস্থা নেয়।
শাহ নেওয়াজ বলেন, ইতিমধ্যে দু’ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় কিছু অনিয়ম হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোনো সন্ত্রাসী ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এবার আরো কঠোর হবো।
তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবার উদ্দেশে বলতে চাই, সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। অনিয়মকারী প্রশ্রয় পাবে না। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও অনিয়ম করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। যদিও উত্তরোত্তর নির্বাচন ভালো হচ্ছে, তবুও আগের চেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরো শক্ত অবস্থান নেবে। আশা করি, তৃতীয় ধাপের ৬২১ ইউপির নির্বাচন আরো সুন্দর হবে।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে এবার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।