ঢাকা : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ঘিরে হামলা, সহিংসতা ও শঙ্কার মধ্যে ৬২০ ইউপি নির্বাচনের জন্য জেলায় জেলায় ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য মালামাল পাঠিয়েছে কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে প্রার্থীদের সবধরনের প্রচার-প্রচারণা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নির্বাচনী এলাকায় নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাচনী অপরাধে সাজা দিতে সাথে থাকছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটগণ। ইসির উপসচিব সামসুল আলম বাংলামেইলকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রথম ধাপে ইতোমধ্যে ৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ জন ও তৃতীয় ধাপে ২৫ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সামসুল আলম জানান, নির্বাচনী আইনানুযায়ী কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোট গ্রহণের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং ভোটগ্রহণের দিন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। এই বিধি লঙ্ঘন করলে ন্যূনতম ৬ মাস বা অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত হবেন।
গত বুধবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোটের আগের রাত থেকে ৩২ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে ইসি।
ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী মধ্যরাত থেকে অর্থাৎ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত অটোরিকশা/ ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক ও টেম্পো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও অনুমোদিত সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে তা শিথিল থাকবে। এ ছাড়া চিকিৎসা, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী তৃতীয় ধাপের পর চতুর্থ ধাপে ৭ মে, পঞ্চম ধাপে ২৮ মে ও ষষ্ঠ ধাপে ৪ জুন ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।