তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতা শুরু হয়েছে। সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়া ও আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। নিরাপত্তার অভিযোগ তদন্তে পুলিশ কাল ক্ষেপন করায় নিরাপত্তা হুমিক, সহিংসতার মাত্রা ও সম্ভাবনা দুটোই বাড়ছে। কোথাও কোথাও কিছু পুলিশ প্রার্থীর পক্ষে কৌশলে প্রচারণা করছেন বলেও অভিযোগ আসছে। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ পেয়েও নিজেদের সীমাবদ্ধতার কারণে এগুতে পারছেন না বলেও অনুমেয় হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে তৃতীয় দফার সম্ভাব্য তুলনামুলক ভাল নির্বাচন নাও হতে পারে বলে আশংকা দেখা দিয়েছে।
গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, প্রার্থীরা আচরণ বিধি বলতে কিছু আছে বলে মনেই করছেন না। নিয়মিত জনসভা ও সমাবেশ করছেন। জনসভা গুলোতে পুলিশও পাহাড়া দিচ্ছেন। এতে করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভয় ভীতি বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ভোটার নিরাপত্তা ভয়ে ভোট দিতে উৎসাহও হারিয়ে ফেলছেন। শুধু ভোটার নয় সরকারী দলের সমর্থন ছাড়া যে সকল প্রার্থী নির্বাচন করছেন তারাও আতঙ্কে আছেন।
২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফার ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এখনি নির্বাচন কমিশনের জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত। না হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে। এতে রাষ্ট্র ও জনগনের নিরাপত্তা হুমকিও বাড়তে পারে।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডটর ইন চীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম