কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে হত্যা করা হয়। এতে কমপক্ষে তিনজনের উপস্থিতির আলামত পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কারা হত্যায় জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হয়নি। তাই ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তনু হত্যার বিষয়ে সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এদিকে আজ সন্ধ্যায় প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানাকে দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। দুপুরে কুমিল্লা সেনানিবাসে গিয়ে তনুর বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন সিআইডি কর্মকর্তারা।
তদন্ত সহায়ক দলের প্রধান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আখন্দ ও কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের দল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়। সেখানে তারা তনুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. নাজমুল করিম খান।
গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউস এলাকার কালভার্টের পশ্চিম পাশের ঝোপ থেকে সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। এ ঘটনায় তারা বাবা মো. ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর মামলার তদন্ত শুরু করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ২৫ মার্চ মামলা স্থানান্তর করা হয় ডিবির কাছে। ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় মামলাটি সিআইডির কাছে স্থানান্তর করা হয়