কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের চৌড়া নয়াবাড়ী গ্রামে ভগ্নিপতি কর্তৃক জোর পূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় এক শারীরিক প্রতিবন্ধি কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ লম্পট ভগ্নিপতিকে আটকের পর ধর্ষক ও কিশোরীর পরিবারে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়অ গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত বছরের ২০ অক্টোবর চৌড়া নয়াবাড়ী গ্রামে লাল মিয়ার প্রতিবন্ধি কিশোরী কণ্যা প্রতিদিনের মতো চাচাত ভাই রফিকুলের ঘরে টিভি দেখতে যায়। এ সময় বাড়ী ফাঁকা পেয়ে চাচাত বোনের জামাই (ভগ্নিপতি) মোফাজ্জল হোসেন পলাশ কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। গত ২৭ অক্টোবর ভগ্নিপতি পলাশ পুনরায় মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। লম্পট মোফাজ্জল হোসেন পলাশ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার পেওরাইট গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার পুত্র। তার স্ত্রী শাহনাজ দীর্ঘ দিন যাবত মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত থাকায় সে পুত্র-কন্যা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছিল।
ধর্ষিতার মা শ্যামলী বেগম প্রতিবেদককে জানান, আমার মেয়ের শারিরীক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হলে তার শারিরীক পরীক্ষা করে জানতে পারি সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি আমার ভাসুরের মেয়ে শাহানাজের জামাই মোফাজ্জল হোসেন পলাশ জোর করে তাকে দুইবার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় ১৬(৪)১৬ নং মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ধর্ষক মোফাজ্জল হোসেন পলাশকে আটক করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ধর্ষক গ্রেফতার হওয়ার সংবাদে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে তার পিতা লাল মিয়া (৫৫), ভাই সোহরাব (২২), ফরহাদকে (১৬) আহত করে। অপর পক্ষের শফিকুল (২২) ও রফিকুল (২২) নামে দুই জন আহত হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষক পলাশকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্তসত্বা কিশোরীর সন্তান প্রসবের পর তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।