বাংলাদেশের রাজকোষ থেকে চুরি করা অর্থ নগদ ডেলিভারি দেয়ার সময় জাল রিসিপট ব্যবহার করা হয়েছিল। এমন একটি রিসিপট উপস্থাপন করেছে ফিলরেম সার্ভিসেস করপোরেশন। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য প্রকাশ করেছেন ফিলিপাইনের সিনেট ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তিওফিস্তো গুইঙ্গোনা তৃতীয়। তিনি স্থানীয় একটি রেডিওর সঙ্গে কথা বলছিলেন।
এরই এক পর্যায়ে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি ফিলরেমের একজন ম্যাসেঞ্জারের বিলাসবহুল বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ খবর দিয়েছে এবিএস-সিবিএন নিউজ। এতে বলা হয়েছে, ফিলরেম যে রিসিপট উপস্থাপন করেছেন তাতে দৃশ্যত স্বাক্ষর রয়েছে জাঙ্কেট অপারেটর ওয়েইকাং সু’র। বাংলাদেশের চুরি করা ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের ভাগ তিনিও পেয়েছিলেন। উপস্থাপিত রিসিপটে যে স্বাক্ষর রয়েছে ওয়েইকাং সু’র তার সঙ্গে তার পাসপোর্ট ও ফিলিপাইনের ভিসা আবেদনের স্বাক্ষরের সঙ্গে কোন মিল নেই। আজ আবার এ ঘটনায় সিনিট ব্লু রিবন কমিটিতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ওই রিসিপট উপস্থাপনের কথাও রয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলিরেম ও ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম ওং এর মধ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পরস্পর বিরোধী।
চুরি যাওয়া অর্থের এক কোটি ৭০ লাখ ডলার সম্পর্কে তারা দু’রকম তথ্য দিয়েছে। ফিলরেম প্রেসিডেন্ট সালুদ বাউতিস্তা ও তার স্বামী ফিলরেমের কোষাধ্যক্ষ মাইকেল কোনকোন বাউসিস্তা বলেছেন, ওই এক কোটি ৭০ লাখ ডলার তাদের কাছে নেই। তারা নগদ অর্থ দেয়ার সময় ওই অর্থ পরিশোধ করে দিয়েছেন। কিন্তু কিম ওং বলছেন, এ অর্থ ‘মিসিং’ হয়েছে। বাউসিস্তা দম্পতি ও কিম ওংয়ের মধ্যকার এই দুই রকম তথ্য যাচাই করতে এর আগে রেমিটেন্স কোম্পানি ফিলরেমের ম্যাসেঞ্জার মার্ক পালমারেসকে তদন্ত কমিটি তলব করেছিল। কিনতু অসুস্থতার অজুহাতে তিনি দু’বারই সিনেটের শুনানিতে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন।
ওদিকে পালমারেস যে বাড়িটি ব্যবহার করেন তার একটি ছবি গুগল আর্থ ব্যবহার করে উদ্ধার করেছেন এমপিরা। তাতে দেখা যায় ওই বাড়িটি বিশাল। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গুইঙ্গোনা। ওই বাড়িটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অফিসের কাছে। গুইঙ্গোনা বলেন, তারা পালমারেসকে তলবের যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তা গ্রহণ করেছেন পালমারেসের নিরাপত্তা প্রহরী।