ইকুয়েডরের চারদিকে শুধু ধ্বংসলীলা। রোববারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে সেখানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৭২ জন। আরও নিহতের খবর প্রত্যন্ত এলাকাগুলো থেকে আসছিল। ফলে নিহতের এ সংখ্যা অনেক বাড়বে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেরা জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তিনি ইতালি সফর কংক্ষিপ্ত করেছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকরা পড়া জীবিতদের উদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। চলছে উদ্ধার অভিযান। জীবিতরা তাদের স্বজনদের উদ্ধারে খালি হাতেই সরাচ্ছেন ধ্বংসস্তূপ। খাদ্য ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আসছে বিদেশী সহায়তা। প্রথমেই তাদের পাশে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে গেছ ভেনিজুয়েলা ও মেক্সিকো। কলম্বিয়া উদ্ধারকারী দল পাঠানোর ঘোষণা দিয়ছে।
আক্রান্ত এলাকায় নৌবাহিনী পৌঁছে দেবে পানি। প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া বলেছেন, সবকিছুই পুনর্গঠন করা যাবে। কিন্তু হারানো জীবন ফিরে পাওয়া যাবে না। স্বজন হারানোর বেদনা সবচেয়ে কষ্টের হয়ে থাকবে। এরই মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মানতা পরিদর্শন করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জি গ্লাস। তিনি বলেছেন, আমাদের উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ভারি মেশিনারিজ নেই। হেলিকপ্টার ও বাস ব্যবহার করে সেনারা আক্রান্তদের কাছে যাচ্ছেন। কিন্তু ভূমিধসের কারণে তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। মানতায় এক নারী বলেছেন, তাদের মাথার ওপর ভেঙে পড়ে তৃতীয় তলা বাড়িটি। এ সময় তারা সবাই ছিলেন বাড়ির ভিতরে। ছিল শিশুরাও।