বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ২০ জন বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার রাজধানীর সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. শাহ আলম।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন বিদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের কয়েকজন শ্রীলংকা ও ফিলিপাইনের নাগরিক।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি জানান, তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট (অর্থ লেনদেনের বার্তা প্রেরণ পদ্ধতি) সংযুক্ত সার্ভারে ঢুকে অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংককে (এফআরবি) বেশ কিছু পরিশোধ নির্দেশনা দেয়।
এ থেকে পাঁচটি নির্দেশনা কার্যকর করে এফআরবি। চার ব্যক্তির অ্যাকাউন্টের অনুকূলে চারটি নির্দেশনা যায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকে, যার সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। একটি অর্ডারের ২ কোটি ডলার শ্রীলংকার প্যান এশিয়া ব্যাংকে একটি এনজিওর অ্যাকাউন্টে পরিশোধের নির্দেশনা ছিল। এনজিওর নামের বানান ভুল থাকায় এর পরিশোধ আটকে দেওয়া সম্ভব হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরিরর এ ঘটনায় নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে যাওয়া অর্থ ব্যাংক থেকে বের হয়ে বড় অংশ ক্যাসিনোতে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত হয়েছে। সেদেশে এ ঘটনার তদন্ত চলছে। কিম অং নামে একজন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী তার কাছে যাওয়া অন্তত দেড় কোটি ডলার ফেরত দিতে চেয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪ লাখ ডলার ইতোমধ্যে ফেরত দিয়েছেন তিনি।