রোববার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।
আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য রোববার খালেদা জিয়ার আদালতের হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঢাকার তৃতীয় বিশেষ আদালতে হাজির হন।
আদালতে হাজির হওয়ার পর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই মামলায় পুলিশের কেস ডায়েরি তলব এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে পুনরায় জেরা করার জন্য আবেদন করা হয়।
তবে দীর্ঘ শুনানি শেষে দুটি আবেদনই খারিজ করে দেন আদালত। পাশাপাশি এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল পুনরায় খালেদা জিয়াকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলায় পুলিশের কেস ডায়েরি তলব এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার জন্য তাদের করা আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। তারা এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেন। তার আগে গত ৩১ মার্চ বিচারক এ মামলার তিন আসামিকে আদালতে হাজির থাকতে বলেছিলেন।
মামলার অপর দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান ৭ এপ্রিল আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। খালেদা জিয়া হাজির না হওয়ায় নতুন করে দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার চার আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী বিচারের শুরু থেকেই পলাতক।
২০০৫ সালে রাজধানীর কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। তবে জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
এ অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ খান। – See more at: http://bangla.samakal.net/2016/04/17/206592#sthash.0jQWvV5O.dpuf