ঢাকা: ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মালাউকিতে। এর মাত্রা ছিল ৬.৯। এই ভূমিকম্প যে সকলে টের পেয়ে এমন নয়। কিন্তু কেনো সকলেই সমানভাবে ভূমিকম্প টের পান না? এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ।
অনেকেই ভাবেন, ভূমিকম্প টের পাওয়া বা না-পাওয়ার সঙ্গে শরীরের সম্পর্ক রয়েছে। ভরকেন্দ্র-গোত্রের নানা ব্যাখ্যা ভেসে আসে। শোনা যায় উচ্চতার সঙ্গে ভূমিকম্প অনুভব করার প্রত্যক্ষ সম্পর্কের কথাও।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্প অনুভব করার সঙ্গে শরীরের গঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। তা হলে কীসের সঙ্গে রয়েছে? ব্যাখ্যাটি অতীব সহজ। আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে বা বসে রয়েছেন, তার উপরে নির্ভর করে আপনি ভূমিকম্প কতটা টের পাবেন।
ভূমিকম্পের একটি উৎসস্থল হয়। সেখান থেকে তরঙ্গ ক্রমশ ছড়াতে থাকে। এই তরঙ্গ ছড়ায় একাধিক নির্দিষ্ট রেখা ধরে। সেই রেখা বরাবর এবং তার আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। ফলে আপনি যদি এই সব এলাকার মধ্যে পড়ে যান, তা হলে অবশ্যই কম্পন অনুভব করবেন। পুরোটাই নির্ভর করে এই তরঙ্গ এবং তার তীব্রতার উপরে।
খুব বেশি তীব্রতার ভূমিকম্পের অর্থ তার তরঙ্গও শক্তিশালী। ফলে, অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ অনুভব করবেন।