যারা ধর্ম সম্পর্কে ‘নোংরা’ কথা লিখেন তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন একটা ফ্যাশন দাঁড়িয়েছে যে, ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তারা মুক্তচিন্তার ধারক! কিন্তু আমি এখানে কোনো মুক্ত চিন্তা দেখি না। আমি দেখি নোংরামি।’ ধর্মের সম্পর্কে কেউ নোংরা কথা লিখলে তা সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, যাকে আমি নবী মানি তার সম্পর্কে নোংরা কেউ যদি লেখে সেটা কখনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন নোংরা কথা, পর্ণ কথা এগুলো কেন লিখবে? এটা তো সম্পূর্ণ নোংরা মনের পরিচয়। আবার একজন লিখলে আরেকজন খুন করে প্রতিশোধ নিবে এটা তো ইসলাম ধর্ম বলেনি।
তিনি বলেন বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা বা মানুষের জীবনের ওার হুমকি দেয়া এটা ধর্মে কোথায় বলা আছে? যারা এ ধরণের হুমকি দেয় তারাই তো ধর্মকে অবমাননা করে।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনা পালনের জন্যেও সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ধর্ম বিশ্বাসে আমরা মুসলমান হওয়ার পাশাপাশি জাতিসত্বার পরিচয়ে বাঙালি। বাঙালি হিসেবেই আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সে কথা ভুললেও চলবে না। আর পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির উৎসব, এই উৎসব উদযাপন দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের।’
বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, যাকে আমি নবী মানি তার সম্পর্কে নোংরা কেউ যদি লেখে সেটা কখনো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন নোংরা কথা, পর্ণ কথা এগুলো কেন লিখবে? এটা তো সম্পূর্ণ নোংরা মনের পরিচয়। আবার একজন লিখলে আরেকজন খুন করে প্রতিশোধ নিবে এটা তো ইসলাম ধর্ম বলেনি।
তিনি বলেন বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা বা মানুষের জীবনের ওার হুমকি দেয়া এটা ধর্মে কোথায় বলা আছে? যারা এ ধরণের হুমকি দেয় তারাই তো ধর্মকে অবমাননা করে।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনা পালনের জন্যেও সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ধর্ম বিশ্বাসে আমরা মুসলমান হওয়ার পাশাপাশি জাতিসত্বার পরিচয়ে বাঙালি। বাঙালি হিসেবেই আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। সে কথা ভুললেও চলবে না। আর পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির উৎসব, এই উৎসব উদযাপন দেশের সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের।’
মানুষের আনন্দ-উৎসব করার জন্য সুযোগ প্রয়োজন, আমরা সে সুযোগ করে দিতে পেরেছি। আমাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেটা কোন পথে কিভাবে দিতে পারবো, তার নির্দেশনা সরকারই দেবে। আর আশা করি সকলেই এই নির্দেশনা মেনে চলবে।
বিচার তো আল্লাহ করবে। আল্লাহই তো বলে দিয়েছেন, উনিই শেষ বিচার করবেন। যাদের আল্লাহর ওপর ভরসা নেই তারাই এই খুন-খারাবি করতে চায়। কারণ তারা আসলে আল্লাহ রসুলও মানে না, তারা নিজেরাই আল্লাহর কাজ করতে চেষ্টা করে। এটা তো শিরক।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন বছরে বাংলাদেশের আরও অগ্রগতি প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সমাগতদের মিষ্টি, ফলসহ বিভিন্ন খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন বছরে বাংলাদেশের আরও অগ্রগতি প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সমাগতদের মিষ্টি, ফলসহ বিভিন্ন খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও সতীশচন্দ্র রায়সহ সিনিয়র নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়েরও নেতা-কর্মীর প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।