নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা জরুরী

Slider জাতীয় বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয় সারাদেশ

images

 

 

সংসদীয় পদ্ধতির সরকারে বিরোধী দল থাকতে হয়। আজ বিরোধী দলের প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বীকার করেছেন তার দল গৃহপালিত বিরোধী দল। যদি তাই হয় তাহলে বিরোধী দল ছাড়া গনতান্ত্রিক সরকার হয় কিভাবে?

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও নিজের ভোট দিতে পারেন নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও ঠিক তাই। গৃহপালিত বিরোধী দলের প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজে ভোট তো দেননি বরং নির্বাচনে না দাঁড়িয়েই পাশ করেছেন বলে উনি নিজেই বলেছেন। নির্বাচন না করে এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন এরশাদ। বর্তমান সরকারের অনেক এমপি মন্ত্রীকে নিজের প্রতীকে নিজের ভোটও দিতে হয় নি। ইতিহাস আরো বলছে, ৩০০ আসনের সংসদে ১৫১টি আসনে সরকার গঠন হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে ১৫৩ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনের আগেই সরকার গঠন হয়েছে বলেই ধরে নেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের সংসদীয় গনতন্ত্র কোন পর্যায়ে আছে তার ব্যাখা আামদেরও জানা নেই।

অতিসম্প্রতি আদালতে দন্ডিত ৩জন মন্ত্রী নৈতিক  ও সাংবিধানিক কারনেও পদত্যাগ করেননি। তিন মন্ত্রীর বিষয়ে আদালত শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে শুনানীতে বলার পরও আইনমন্ত্রী বলছেন শপথ ভঙ্গ হয়নি। তাহলে প্রশ্নেএসে যায়, সাংবিধানিক ও আইনীভাবে শপথ যদি ভঙ্গ না  হয় তাহলে শপথ করার কি দরকার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের প্রতীকে নিজেই ভোট দিতে না পারেন তাহলে ভোটের কি প্রয়োজন। বর্তমানে চলমান ইউপি নির্বাচনের অবস্থা বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে আর নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না। কারণ তোমার ভোট আমি দেব রীতি স্থায়ী হতে যাচ্ছে। তাই আর নির্বাচন লাগবে না।

বর্তমান সরকার কি ধরণের সরকার তা নিয়ে প্রশ্ন  আছেই। বলতে গেলে এই সরকার সাংবিধানিক ভাবে বৈধ সরকার কিন্তু অগনতান্ত্রিক। মানে অগনতান্ত্রিক বৈধ সরকার।

আমাদের সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের কথা বলা থাকলেও  আমাদের এখন আর ভোট লাগছে না। ভোট ছাড়াই আমরা বৈধ গনতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে পারছি। যারা ভোট গ্রহন করবেন তারাই সিল মারছেন। তাহলে আর ভোট লাগবে কেন? ভোটারদেকেই বা ডাকাডাকির কি দরকার।

জনগনের প্রত্যাশা, উচ্চ আদালত সংবিধানের অভিভাবক। সরকার যদি  সংবিধান  লংঘন করে তাহলে একমাত্র উচ্চ আদালতই তার বিচার করতে পারে। সুতরাং বর্তমান সরকার ও সরকার কর্তৃক মনোনীত নির্বাচন কমিশন কি ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করছে, আমরা কোন গনতান্ত্রিক সরকারের অধীনে আছি ও ভবিষৎ কি ধরণের গনতান্ত্রিক সরকার হলে সাংবিধানিক হবে তা  আদালতই স্পষ্ট করতে পারে।

 

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইন চীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *