সম্পাদকীয়: হঠাৎ কতিপয় মন্ত্রী সরকারের বিরুদ্ধে! কোন সংকেত?

Slider জাতীয় টপ নিউজ বাধ ভাঙ্গা মত সম্পাদকীয়

images (1) copy

 

 

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা, ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কে ঘিরে প্রশ্নবিদ্ধ ভোট অনুষ্ঠান, খুন, ধর্ষন, অপহরণ ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে সরকারের বাইরে ও ভেতরে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। আদালত অবমাননার দায়ে দন্ডিত দুই মন্ত্রী নিয়েও বিপাকে পড়েছে সরকার। দন্ডিত দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিরোধীদের পক্ষ থেকেই শুধু নয় সরকারের খোঁদ দপ্তর বিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তও বলেছেন, নৈতিক কারণেই তাদের পদত্যাগ করা উচিত। নতুন করে আদালতের রায়ে  আজ আবার মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও দন্ডিত হলেন।

এসকল বিষয়ে দেশী বিদেশী চাপও রয়েছে সরকারের উপর। ফলে সরকার নানা মুখী চাপে পড়েছে।  ফলে তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠান করে সরকার কিছুটা হলেও স্বস্থিতে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়ায় সরকারের অভ্যন্তরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় থাকা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ “ আমার ভোট তুমি দিবে” বলে মন্তব্য করেছেন। মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভোটের পরিবেশ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন “ গনতন্ত্র বিপজ্জনক দিকে যাচ্ছে”। মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও নেতিবাচক কথা বলছেন। সরকারের অভ্যন্তরে সরকার বিরোধী মন্তব্য হওয়ার কারণে বিএনপি ও অন্যান্য দল সরকারের বিরুদ্ধে বেসামাল কথাও বলছে। এই সূযোগে বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতারা মাঠে নেমে প্রচারণা শুরু করেছেন।

এদিকে বিদেশী মহল সরকারের নানা মুখী কাজের সমালোচনা করছেন। ফলে সরকার ভেতরে ও বাইরে প্রচন্ড অস্থিরতায় আছেন। তবে এই অস্থির পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু করার পাশাপাশি আর কি কি পদক্ষেপ নিবে তাও ভেবে দেখার বিষয়।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, হঠাৎ করে সরকারের ভেতরে একাধিক মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে কেন সরকারের সমালোচনা করছেন  তা নিয়ে জল্পনা কল্পনাও রয়েছে। অনেকে ভাবছেন ইউপি নির্বাচনে ভোটের পরিস্থিতির এই হাল হওয়ায় আগামী যে কোন নির্বাচন আর আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে হওয়ার সম্ভাব নেই। যদি নিরপেক্ষ কোন সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন হয় তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না মনে করেই হয়তবা আওয়ামীলীগের শরীক দলের মন্ত্রীরা এখন বুলি পাল্টাচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি যাই হউক স্থানীয় সরকার নির্বাচন অগনতান্ত্রিক ভাবে করায় সরকারের এই বেহাল দশা এতে কারো কোন সন্দেহ নেই।

জাতির প্রত্যাশা সরকার সকল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে একটি গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে আনুক। এতে দেশ ও জাতির মঙ্গল হবে।

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইন চীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *