আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধন করবেন না, তাদের সংযোগ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, গ্রাহকদের এসএমএস দিয়ে সতর্ক করা হবে। এরপরও নিবন্ধন না করলে তাদের সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।
সিমকার্ড নিবন্ধনে সাধারণ মানুষকে উদ্বদ্ধু করতে রোববার সকালে বাংলালিংক আয়োজিত রোড শো শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তারানা হালিম বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনলাইনে ৪০টি পেজ থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই অপপ্রচারে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, জামায়াত-শিবির আর অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমেই তাদের মোকাবেলা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটির কিছু বেশি। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ কোটি ৪৫ লাখ সিমকার্ড নিবন্ধিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান এবং বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, জনস্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে সিমকার্ড যথাযথ নিয়মে পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা অবৈধ ব্যবসায়ী, যারা জানে সিমকার্ড সঠিকভাবে নিবন্ধন হলে তাদের ভবিষ্যত অন্ধকার, তাই তারা এর বিরোধিতা করছে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা হয় ভ্রান্ত ধারনার বশবর্তী হয়ে এটা করছে, না হয় কোন অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে করছে।
বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিমকার্ড নিবন্ধনে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে শুধু ঢাকা নয়, দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরেই রোড শোর আয়োজন করছে বাংলালিংক।