মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে কাশিমপুর কারাগারে তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও পুত্রবধূ দেখা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজামীর পরিবারের সদস্যরা কারাগারে যান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মো. নাশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বেলা পৌনে একটার দিকে মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বেগম সামসুন্নাহার নিজামী, ছেলে নাজীব মোমেন, মেয়ে খাদিজা তাহেরা ও পুত্রবধূ সালেহা দেখা করেন। তাঁরা কারাগারের একটি কক্ষে নিজামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎ শেষে বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা কারা চত্বর ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ১৫ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুপরোয়ানা পৌঁছার পর ১৬, ২৪ ও ৩১ মার্চ মতিউর রহমান নিজামীর সঙ্গে তাঁর ছেলে নাজীব মোমেন, তাঁর আরও দুই আইনজীবীসহ পরিবারের লোকজন তিন দফা দেখা করেছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে গঠন করা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন নিজামী। গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ ডিসেম্বর আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে। ওই দিন আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনকালে নিজামীর সাজা কমানোর আরজি জানায়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে। আসামিপক্ষের যুক্তিখণ্ডনের মধ্য দিয়ে নিজামীর আপিল মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রাখেন।