মিয়ানমারে নতুন দায়িত্ব পেলেন অং সান সুচি। তাকে দেয়া হয়েছে স্পেশাল এডভাইজার বা বিশেষ উপদেষ্টার পদ। তাকে এমন দায়িত্ব দিয়ে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট হতিন কাইওয়া। এর মধ্য দিয়ে সরকারের সব শাখায় সুচির প্রভাব বিস্তারের পথ সুগম হলো। এমনিতেই মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকারে তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাংবিধানিক নিয়মের অধীনে তিনি তা হতে পারেন নি। কারণ, তার স্বামী ও সন্তান বিদেশী নাগরিক হওয়ায় এক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। তাই তাকে যে কোন উপায়ে সরকারের ভিতরে একটি বড় পদ দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। তাকে এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তার ওপর তিনি বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সুচি বুধবার সাক্ষাত করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন চীনকে। বুধবার মিয়ানমারের পার্লামেন্টের দু’কক্ষেই সুচিকে বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়ার বিলের ওপর শুনানি হয়। সেনা বাহিনী মনোনীত সদস্যরা এ বিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। কিন্তু এক পর্যায়ে এই বিলে স্বাক্ষর করেন সুচির দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহচর, ঘনিষ্ঠজন, প্রেসিডেন্ট হতিন।