লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বড়পোল এলাকায় পুলিশের গুলিতে কাউছার নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ভোররাতে। নিহত কাউছার একই উপজেলা লতিফপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও বিএনপি নেতারা জানান, বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নিজের পাসপোর্ট করানোর জন্য কাউছার ওই অফিসে যায়। এসময় ওই অফিসের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর ডিবি অফিস ও চন্দ্রগঞ্জ থানায় তার সন্ধান চাইতে গেলে ও পুলিশ তাকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানায়। কিন্তু সকালে কাউছারের লাশ হাসপাতালে পড়ে আছে শুনতে পাই। গুলি করে কাউছারকে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়েেেছ পুলিশ। কাউছার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে রাজনীতির ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করেন তারা।
পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল কাউছার। গতকাল বুধবার কাউছার আটক করা হয়। রাতে চন্দ্রগঞ্জের বড়পোল এলাকায় তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় কাউছারের সহযোগিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং কাউছারকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে কাউছার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই কাউছার চৌধুরী,কনস্টেবল ইব্রাহিম হোসেন ও মহসিনসহ তিনজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান,পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী কাউছার। তার বিরুদ্ধে ফারুক হোসেন হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে গেলে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় কাউছার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে।