বাংলাদেশের রাজকোষ থেকে চুরি করা অর্থ বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ লাগবে। আদালত নির্দেশ দিলেই ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম ওংয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করা টাকা তুলে দেয়া হবে বাংলাদেশের কাছে। এ কথা বলেছেন ফিলিপাইনের সিনেট ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর তিওফিস্তো গুইঙ্গোনা তৃতীয়। তিনি বলেছেন, কিম ওংয়ের কাছ থেকে উদ্ধার করা অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে এন্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি) একটি সিভিল ফোরফিচার (বাজেয়াপ্তকরণ) মামলা করবে। মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএমএলসি। এ সময় এএমএলসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন গুইঙ্গোনা। পরে তিনি ফিলিপাইনের এনকোয়ার পত্রিকাকে ফোনে বলেছেন, আমরা সর্বশেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তাহলো এ বিষয়ে একটি মামলা করা হবে। এটা আইনী প্রক্রিয়া। আমাদেরকে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেই হবে। তার কথায়, সরকারের একটি সংস্থা থেকে নিশ্চিত করতে হবে যে, এই অর্থের মালিক বাংলাদেশ এবং তাদের হাতে তা ফেরত দিতে হবে এই মর্মে একটি নির্দেশনা প্রয়োজন। গুইঙ্গোনা বলেন, যখনই আদালত থেকে এমন নির্দেশনা দেয়া হবে তখনই এএমএলসি ওই অর্থ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে। সিনেটর গুইঙ্গোনা বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত জন গোমেসকে এ অর্থ ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। জবাবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলেই তিনি এই অর্থ ফেরত নেবেন। এখন পর্যন্ত কিম ওং বাংলাদেশের চুরি করা অর্থ থেকে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং ৩ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার পেসো ফেরত দিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। আগামী ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আরও ৪৫ কোটি পেসো ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিম ওং বলেছেন, তিনি ওই অর্থ ক্যাসিনো অপারেটর হিসেবে পেয়েছিলেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে দু’চীনা নাগরিকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। বলেছেন, তাদের কাছ থেকে তিনি এসব অর্থ পেয়েছেন। তবে বাংলাদেশের এই অর্থ ফেরত পেতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে দাবি করেছেন সিনেট ব্লু রিবন কমিটির চেয়ারম্যান গুইঙ্গোনা। তিনি বলেন, যেহেতু এ নিয়ে মামলা হলে তাতে কোন প্রতিপক্ষ থাকবে না, তাই এ মামলার সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ওই সময়ের মধ্যেই। তিনি বলেন, সাধারণত এসব মামলা নিষ্পত্তি হতে দীর্ঘ সময় লাগে। কারণ, তাতে প্রতিপক্ষ থাকে। যদি কেউ দাবি করে বসেন যে, এই অর্থের মালিক বাংলাদেশ নয়, তিনি এর মালিক। তাহলে এ মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমনটা দাবি করার মতো কেউ নেই।