সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছে। গত ৩রা এপ্রিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বরাবর এ চিঠিটি দেন। চিঠিতে তনু হত্যা তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার যথার্থতা খুঁজে বের করা ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে গত ৩১শে মার্চ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কুমিল্লায় সোহাগী জাহান তনু’র হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ওই সময় কুমিল্লা সেনানিবাসের কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, সোহাগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে কমিশন তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বরাবর চিঠিতে বলেছেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে এমন ধারণার সৃষ্টি হতে পারে যে, কিছু সাক্ষ্য টেম্পার বা ডক্টরিন (অবৈধ প্রভাব বিস্তার ও ভিন্নখাতে নেয়া) করা হতে পারে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে যা বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে তবে যে বা যারা কাজটি করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয় বলে আমরা মনে করি।’ চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন ‘পরিদর্শনকালে আমাদের মনে হয়েছে যে জায়গাটিতে তনুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে কোনো এক মহল সেখানকার মাটি তুলে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে আমরা জানতে পেরেছি, র্যাবের সদস্যরা মাটি তুলে নিয়ে গেছে। কোন্ ক্ষমতা বলে র্যাব এটি করেছে তার যথার্থতা নিরূপিত হওয়া আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।’ কমিশন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে চিঠিতে বলেছে, প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনটি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তে সেসব প্রশ্নের উত্তর থাকা জরুরি। কমিশন চিঠিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছে, কেউ যদি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে থাকে তাকে যিনি এ কাজে সাহস জুগিয়েছেন তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। উল্লেখ্য, সোহাগী জাহান তনুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে চিকিৎসকেরা ব্যর্থ হয়েছেন। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি, এমনকি কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এ নিয়েও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।