দুই ধাপে প্রায় ৪০ এর উপরে খুন হওয়ার পর শুরু হচ্ছে তৃতীয় ধাপ। ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে তৃতীয় দফায় ইউপি নির্বাচন। আজ বুধবার শেষ হল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এখন প্রতীক সহ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হবে প্রচারণা।
মাঠ পর্যায়ের সংবাদে দেখা যায়, গত দুই ধাপে রেকর্ড সংক্ষক ভোটার ভোট দিতে গিয়ে খুন হওয়ায় ২৩ এপ্রিল ভোটাররা ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার আশংকা করছেন। আর সরকারী দলের প্রার্থীরা প্রতিনিয়ত হুমকি ধমকি দিয়ে ভোটারদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। ভোট হবে না লুট হবে বা কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার পড়বে না, এমনকি নৌকার এজেন্টদের সামনে সিল মারতে হবে এ ধরণের হুমকি ধমকি চলছে। বিপরীতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দিয়ে সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছেন। আর ধানের শীষের প্রার্থীদের কোন চিন্তা নেই। কারণ তারা প্রকাশ্যে তেমন একটা প্রচারণা করছেন না। নিরাপত্তার কারণে এজেন্ট দিতে না পারলেও দলীয় ভাবে কোন চাপ নেই বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক ধানের শীষের প্রার্থী গত নির্বাচন বর্তমান নৌকার প্রার্থীর পক্ষে করেছেন। অনেকে টিকে থাকার জন্য নৌকার প্রার্থীর অর্ডার বয়ের কাজ পর্যন্ত করেছেন। তাই তাদের উপর হামলার তেমন আশংকা নেই। ফলে ধানের শীষ নয় মূলত প্রতিদ্বন্ধীতা হচ্ছে নৌকা ও নৌকার বিদ্রোহীদের মধ্যে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যারা নৌকা প্রতীক পেয়েছেন তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও শক্তিশালী। কারণ নৌকার শক্তি এমপি হলে বিদ্র্রোহীর শক্তি মন্ত্রী। অনেক ক্ষেত্রে উল্টোটাও হচ্ছে। ফলে তৃতীয় দফা নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা হতে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহীদের মাঝে। এবার একটি বিষয় মাঠে ময়দানে ভাল প্রভাব ফেলছে। তাহল “লুটে নিয়ে পাশ আর লুটে নিলে থাকবে কি “ এই দুটি ধারণার কারণে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারেও যাচ্ছেন কম। কারণ দেয়া ছাড়া ভোট হয়ে গেলে ভোটারদের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করার অর্থ নেই।
এদিকে গত দুই ধাপে ৪০ জনের বেশী ভোটার খুন হওয়ার পর দেশে বিদেশে সরকার একটা চাপের মধ্যে পড়ে গেছে। সরকারী দল ছাড়া প্র্র্রায় সকল দলের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফার পর তারা নির্বাচনে থাকবে কিনা সন্দেহও প্রকাশ করছে। ফলে সরকার তাদের অবস্থান পরিস্কার করতে তৃতীয় দফায় তুলনামূলকভাবে ভাল ভোট অনুষ্ঠান করার চেষ্টা করছে।
সরকারের একটি উচ্চ মহল বলছে, তৃতীয় দফার ভোটে খুনের সংখ্যা জিরো করার চিন্তা করছে সরকার। আর ভোটের আগে সরকারী দলের উপর কড়া নজরধারীও আসতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে ওই সূত্র। সব মিলিয়ে বলা যায়, তৃতীয় দফার ভোট সাধ্যমত সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ভোট হবে লুট হবে না এই শ্লোগান টিকে যেতে পারে।
সম্পাদকীয়
লেখক
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইন চীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম