পহেলা বৈশাখের উৎসবের সময় নির্ধারণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ নিষিদ্ধের ঘটনায় সংস্কৃতিকর্মীদের তীব্র বিরোধীতার মুখে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন- এটা ভুল বুঝাবুঝি। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অবশ্যই মুখোশ থাকবে। তবে সেটা মুখে নয়, হাতে। শুভাযাত্রার আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বিকেল ৫টার মধ্যে বৈশাখী উৎসব শেষ করার বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বৈশাখী অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কোনো নাশকতার হুমকি নেই। এরপরও নিরাপত্তার সব ব্যবস্থাই থাকছে।
বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিকেল ৫টার মধ্যে বৈশাখের অনুষ্ঠান শেষ করার কথা বলেন। শোভাযাত্রায় মুখোশ ও ভুভুজেলা নিষেদ্ধের কথাও বলেন তিনি। তার এ বক্তব্য গণমাধ্যমে আসলে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
বুধবার ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম পুরো বিষয়ের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজকদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠক হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, চারুকলা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন ধরনের বড় বড় মুখোশ বানিয়ে তা শোভাযাত্রায় হাতে রেখে প্রদর্শন করে। এসব মুখোশ মুখ ঢাকার জন্য নয়। আয়োজকরাও তা চান না। তবে অনেক সময় বাইরের লোকজন মুখে মুখোশ পরে ওই শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়ে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এজন্যই আলোচনা করে শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ পরা নিষিদ্ধা করা হয়েছে। অন্যান্য বছর যেভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।