জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দলের একটি অংশ বাইরের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ জন্য পার্টি তার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে পারছে না। ফলে মানুষ জাতীয় পার্টিকে আস্থায়ও নিতে পারছে না। গতকাল জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দলের কাউন্সিল পেছানো ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অবস্থান তুলে
ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়। জিএম কাদের বলেন, দলের অবস্থা হচ্ছে এমন যে, গরু আমার, মালিকানা অন্যের। তবে আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করি, দলের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন। তবে দলের অপর অংশের এমন কর্মকাণ্ড কাউন্সিল বা দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু কিছুই হয়নি। নির্বাচন কমিশনই এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী। চলমান ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছি আমরা। যার তথ্য-প্রমাণ ভিডিওসহ আমাদের কাছে আছে। ৩৫টি ইউপির ১১১টি কেন্দ্রে অনিয়ম ছিলো চরম পর্যায়ে। আমরা এসব অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছি। এসব স্থানে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছি। কিন্তু এর প্রতিকার আজও পাইনি। তিনি আরও বলেন, এখন যেভাবে নির্বাচন চলছে, তাতে নির্বাচনের ওপর জনগণ আস্থা হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে। ভবিষ্যতে এমন হতে পারে যে, গেজেটের মাধ্যমে ক্ষমতার জোরে জনপ্রতিনিধি নির্ধারণ করা হবে। যেটা সবার জন্যই অমঙ্গলজনক। ইউপি নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপে দলের বিপর্যয় নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে খুব খারাপ করেছে। এটা অস্বীকার করছি না। তবে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, ভয়ভীতি ও সরকারি দলের পেশিশক্তির ব্যবহার হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম দুই ধাপের ১৩শ’রও অধিক ইউপির মধ্যে জাপা প্রার্থী দিয়েছে মাত্র ১৭৬ ও ১৫৬ জন। এর কারণ হলো- প্রার্থীদের আর্থিক অসচ্ছলতা, সরকারি দলের ভয়ভীতি। এরপরেও যারা এসেছেন তারা অনেক সাহস নিয়ে এসেছেন। জনগণ জাতীয় পার্টিকে পছন্দ করে। সুযোগ পেলে তারা ভোট দেবে। এটাই আমরা দেখতে পেয়েছি। কিন্তু সরকারের হস্তক্ষেপ ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পরবর্তী ধাপগুলোর ইউপি নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এজন্য নির্বাচনে অংশ নেই। কিন্তু এখন নির্বাচনের যা অবস্থা, তা নামমাত্র। তাই পরের ধাপগুলোর ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জাপার কাউন্সিল ১৪ই মে: সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দলের কাউন্সিল আরেক দফা পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানান। নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৪ই মে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে দলটির ৮ম জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সময়মতো জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করতে না পারা, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও সম্মেলনের ভেন্যু ঠিক করতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মহাসচিব। কাউন্সিলে দলের বিশৃঙ্খলাকারীদের কী অবস্থান হবে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, তাদের অবস্থা কিরূপ হবে তা সময়ই বলে দেবে। তাদের আচরণের ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু। উল্লেখ্য, এর আগে ১৬ই এপ্রিল জাপার কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারিত ছিল।
ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়। জিএম কাদের বলেন, দলের অবস্থা হচ্ছে এমন যে, গরু আমার, মালিকানা অন্যের। তবে আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আশা করি, দলের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন। তবে দলের অপর অংশের এমন কর্মকাণ্ড কাউন্সিল বা দলে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু কিছুই হয়নি। নির্বাচন কমিশনই এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী। চলমান ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছি আমরা। যার তথ্য-প্রমাণ ভিডিওসহ আমাদের কাছে আছে। ৩৫টি ইউপির ১১১টি কেন্দ্রে অনিয়ম ছিলো চরম পর্যায়ে। আমরা এসব অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছি। এসব স্থানে পুনঃনির্বাচন দাবি করেছি। কিন্তু এর প্রতিকার আজও পাইনি। তিনি আরও বলেন, এখন যেভাবে নির্বাচন চলছে, তাতে নির্বাচনের ওপর জনগণ আস্থা হারাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। যা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে। ভবিষ্যতে এমন হতে পারে যে, গেজেটের মাধ্যমে ক্ষমতার জোরে জনপ্রতিনিধি নির্ধারণ করা হবে। যেটা সবার জন্যই অমঙ্গলজনক। ইউপি নির্বাচনের প্রথম দুই ধাপে দলের বিপর্যয় নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে খুব খারাপ করেছে। এটা অস্বীকার করছি না। তবে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, ভয়ভীতি ও সরকারি দলের পেশিশক্তির ব্যবহার হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম দুই ধাপের ১৩শ’রও অধিক ইউপির মধ্যে জাপা প্রার্থী দিয়েছে মাত্র ১৭৬ ও ১৫৬ জন। এর কারণ হলো- প্রার্থীদের আর্থিক অসচ্ছলতা, সরকারি দলের ভয়ভীতি। এরপরেও যারা এসেছেন তারা অনেক সাহস নিয়ে এসেছেন। জনগণ জাতীয় পার্টিকে পছন্দ করে। সুযোগ পেলে তারা ভোট দেবে। এটাই আমরা দেখতে পেয়েছি। কিন্তু সরকারের হস্তক্ষেপ ও নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পরবর্তী ধাপগুলোর ইউপি নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। এজন্য নির্বাচনে অংশ নেই। কিন্তু এখন নির্বাচনের যা অবস্থা, তা নামমাত্র। তাই পরের ধাপগুলোর ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জাপার কাউন্সিল ১৪ই মে: সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার দলের কাউন্সিল আরেক দফা পিছিয়ে যাওয়ার কথা জানান। নতুন তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৪ই মে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে দলটির ৮ম জাতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সময়মতো জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করতে না পারা, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও সম্মেলনের ভেন্যু ঠিক করতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান মহাসচিব। কাউন্সিলে দলের বিশৃঙ্খলাকারীদের কী অবস্থান হবে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, তাদের অবস্থা কিরূপ হবে তা সময়ই বলে দেবে। তাদের আচরণের ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু। উল্লেখ্য, এর আগে ১৬ই এপ্রিল জাপার কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারিত ছিল।