‘আগের মত সফল প্রযোজক ও পরিচালকদের আর এফডিসিতে খুঁজে পাওয়া যায় না’

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

8579_shimla

 

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী সিমলা এখন দেশে। কিছুদিন আগে ঘাড়ের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকায় ফিরেই  রুবেল আনুশের ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করেছেন। ২০১৪ সালে শুটিং শুরু করা এ চলচ্চিত্রের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হলেও নানা কারণে বাকিটা এতদিন  বন্ধ ছিল। এ বছরের ১৮ই মার্চ রাজধানীর প্রিয়াংকা শুটিং বাড়িতে এ চলচ্চিত্রের বাকি কাজ শুরু করেন সিমলা। এরইমধ্যে তার সব দৃশ্যের কাজ শেষ করেছেন। সিমলা মানবজমিনকে বলেন, আমার মা বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ। তাই অভিনয় ব্যস্ততার বাইরে মাকে সময় দিতে হচ্ছে। আমার অভিনীত ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ চলচ্চিত্রের সব দৃশ্যের কাজ শেষ। এখন শুধু একটি গানের শুটিং বাকি। এটা ঠিকঠাক মত করলেই এ চলচ্চিত্রের কাজটি শেষ হয়ে যাবে। সিমলা নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ম্যাডাম ফুলি’-তে নাম ভূমিকায় নান্দনিক অভিনয় সুবাদে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সেটা ১৯৯৯ সালের কথা। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন সদ্য প্রয়াত গুণী নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন। এরপর আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন সিমলা। তবে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয়তা লাভ করলেও ‘ম্যাডাম ফুলি’র মত আকাশছোঁয়া সাফল্য পায়নি। জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর পর এবার ‘ম্যাডাম ফুলি টু’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। এটি নির্মাণ করবেন আশিকুর রহমান। এ প্রসঙ্গে সিমলা বলেন, চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা ভালো না। তাই এ ছবির কাজটা শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই এটা শুরু হবে। এখানে আমাকে দর্শকরা আগের সিমলারূপেই পাবেন। তবে ছবির নায়ক এখনও নির্বাচন করা হয়নি। আমি চাই, ম্যাডাম ফুলি’র সেই সিমলা দর্শকের কাছে যে খ্যাতি অর্জন করেছিল সেটি যেন ‘ম্যাডাম ফুলি টু’ চলচ্চিত্রেও সমানভাবে অক্ষুন্ন রাখতে পারি। বর্তমান চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থা প্রসঙ্গে সিমলা মানবজমিনকে বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কথা ভাবলে এখন কষ্ট হয়। আগের মত সফল প্রযোজক ও পরিচালকদের আর এফডিসিতে খুঁজে পাওয়া যায় না। পেশাদার প্রযোজক, পরিচালকের সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা হলও কমে যাচ্ছে। আর্টিফিসিয়াল আলোতে জ্বলছে এফডিসি। তাই যে কোনো সময় এই আলো নিভে যেতে পারে। এটা জীবন্ত রাখতে হলে জীবিত আলো দরকার, অর্থাৎ ভালো মানের চলচ্চিত্র বেশি বেশি দরকার। আর এফডিসি চেঞ্জ না হলে বাংলা চলচ্চিত্রের চেঞ্জ হবে না। এর অবকাঠামো দ্রুত পরিবর্তন করা দরকার। পরের প্রজন্ম সেই প্রতীক্ষিত আলো দেখতে পারবে কি-না সে বিষয়ে আমি চিন্তিত। সিমলা আরও বলেন, আমি শিল্পী মানুষ। চলচ্চিত্রে  যেহেতু নাম লিখিয়েছি তাই এই পেশায় আমাকে থাকতে হবে। চারপাশের লোকেরা ভালো বললেও থাকতে হবে কিংবা খারাপ বললেও থাকতে হবে। কারণ অভিনয় ছাড়া তেমন কিছুই জানি না আমি। এদিকে, সিমলা অভিনীত গত বছরে শুটিং শুরু করা ‘নাইওর’ নামে আরেকটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলচ্চিত্রটির কাহিনী লিখেছেন পরিচালক রাশিদ পলাশ। সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আদনান আদীব খান। এখানে সিমলার বিপরীতে প্রথমবারের মত অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন। এ চলচ্চিত্রটি নিয়ে সবশেষে সিমলা বলেন, এ চলচ্চিত্রের প্রযোজক একজন মেয়ে। তার সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে। তাই এ কাজটি শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগ কাজ শেষ করেছি আমি। আর কয়েকদিন সময় দিলে এ চলচ্চিত্রের কাজও আমার শেষ হবে। এ চলচ্চিত্রটি নিয়েও আমি বেশ আশাবাদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *