শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে দুই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ভোট বর্জনের যুক্তি তুলে ধরে দলের নীতি-নির্ধারকদের তা আমলে নেওয়ার অনুরোধ জানান।
নাগরিক সংসদ আয়োজিত সভায় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ”নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা, পুলিশরা, প্রিসাইডিং এজেন্টরা সবাই মিলে নৌকায় ভোট দিয়েছে। আর নৌকার লোকরা তো আছেই।”
তিনি আরও বলেন, ”এটা কি ভোট হয়েছে? এটা ভোট না, এটা ভোট না, এটা বোট (নৌকা)। এটার মধ্যে আপনি যান কেন?”
ইউপি নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ধাপের নির্বাচন সামনে। আমার মনে হয়, ইট ইজ হাই টাইম।”
তিনি বলেন, এই নির্বাচনকে আমাদের তরফ থেকে বর্জন করা উচিত। এই নির্বাচন এভাবে আর করা ঠিক হবে না। আমাদের প্রতীককে অপমান করা হচ্ছে, ধানের শীষকে অপমান করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারের তৃণমূলের এই নির্বাচন এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দশম সংসদ বর্জনকারী নবম সংসদের বিরোধী দল বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, এই ভোটের নামে তামাশা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিএনপির নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ”আমি অনুরোধ করব, আমাদের দলের নীতি-নির্ধারকদের, যেটা গেছে, গেছে। এদের কাছ থেকে নির্বাচন চান? এদের কাছ থেকে ভোট চান? এরা ভোট দেবে না। এবার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করুন।” দুই অনুষ্ঠানেই নির্বাচনী সহিংসতার জন্য ইসিকে দায়ী করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপির দুই নেতা।
–