লক্ষ্মীপুরে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন সহদর দুই বোন। কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই দুই বোনের মা বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে ৪ জনকে আসামী করে কমলনগর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পৃথক দুইটি মামলার প্রধান দুই আসামী হচ্ছেন- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার মৃত ইসরাফিলের ছেলে খোকন ও একই এলাকার মৃত সোলায়মানের ছেলে সিরাজ উদ্দিন। এছাড়া ইছমাইল হোসেনের ছেলে ইউসুফ ও হোসেন আহমদের ছেলে আবদুল করিমসহ অজ্ঞাত এক আসামী রয়েছেন বলে জানা গেছে। নির্যাতিতরা জানায়, বড় বোনের সাথে একই এলাকার খোকনের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এ সুবাদে গত মঙ্গলবার রাতে খোকন তাদের বাড়িতে আসে। বড় বোনকে ঘর থেকে বের হতে বলে খোকন। একা ঘর থেকে বের হবেনা বললে, ছোট বোনকে সাথে আনতে বলে। দুই বোন ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে আসলে খোকনসহ ৪/৫ জন যুবক একত্রিত হয়ে তাদের মুখ বেধে পাশের পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে রাতভর তাদের দুই বোনকে গণধর্ষণ করে অচেতন অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় তারা। এ দিকে নির্যাতিতদের মা বিভিন্ন স্থানে খোজাঁখুজির এক পর্যায়ে পুকুর পাড়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ওই দুই বোনকে। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহিম দুলাল মাঝিকে বিষয়টি জানায়। ইউপি সদস্য থানায় মামলা না করতে চাপ দেয় ও মিমাংসার আশ্বাস দেন। ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার জন্য ইউপি সদস্য আবদুর রহিম দুলাল মাঝি এ কাজ করছেন বলে নির্যাতিত পরিবারের অভিযোগ। এছাড়া মামলা করলে বাড়ি ছাড়া করারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিত দুই কিশোরীর মা। তবে ইউপি সদস্য আবদুর রহিম দুলাল মাঝি বলেন, দুই বোন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে শুনে উপকার করতে গিয়েছি। কোন চাপ দেয়া হয়নি। একটি চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির আহমদ জানান, দুই বোনকে ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই বোনকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।