মালয়েশিয়ায় নিহত ৩ বাংলাদেশীর লাশ ঢাকায়

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ

37647_m
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় নিহত তিন বাংলাদেশী শ্রমিকের লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে সাতটায় বাংলাদেশ বিমানের ডিজি-০৮৭ নম্বর ফ্লাইটে লাশ ৩টি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কোটা দামানসারা সংলগ্ন সুঙ্গাই বুলুহ এলাকার রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কাছে এমআরটি নির্মাণের কাজ চলছিল। রাতের খাবার খেয়ে কাজে ফিরছিলেন মোহাম্মাদ ফারুক খান (৩৮) মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন মল্লিক (৩৪) এবং মোহাম্মাদ এলাহি হোসেন (২৭)। এর পরপরই বিকট শব্দে ৩৮ মিটার স্প্যানটি প্রায় ১৫-১৬ মিটার উঁচু থেকে কাত হয়ে মাটিতে পরে। সাতজন কর্মীর মধ্যে অন্যরা দৌঁড়ে সরে গেলেও রক্ষা হয়নি ফারুক, এলাহি ও আলাউদ্দিনের। ফারুকের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। বাকি দুজনের বাড়ি পাবনায়। মাত্র চার মাস আগে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তারা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং সহকর্মী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া গ্রামের মো. সোহেল বলেন, এখানে প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশি কাজ করে। সবাই মিলেমিশে থাকি। গত চার মাস আগে ফারুক, এলাহি ও আলাউদ্দিন আমাদের সাথে কাজে যোগ দেয়। এ ঘটনার পর ওই দিন রাত আড়াইটার দিকে মোহাম্মাদ এলাহি হোসেনের (২৭) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পর তা শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। এরপর মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে বাকি দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে মালয়েশিয়ান দমকল কর্মীরা। বাংলাদেশী শ্রমিকের আকস্মিক মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়ে দ্রুত এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন রাজ্জাক।  বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে লাশ ৩টি দেশে আনা হয়। পরে এসব লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহকারী পরিচালক জাহিদ আনোয়ার জানান,  লাশ দাফনের জন্য ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড তহবিল থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এর আগে বুধবার বাংলাদেশ জনশক্তি প্রশিক্ষণ ও রপ্তানি ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে অনুদান দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের সহকারী পরিচালক জাহিদ আনোয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *