চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২ শিক্ষার্থী। এ ঘটনার জের ধরে নগরীর ওয়াসা ও প্রবর্তক মোড়ের ৫০টির বেশি দোকান ও প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা হয় ২০টির বেশি সিএনজি। প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে সব ধরনের যান চলাচল। এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে দামপাড়া ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম সোহেল আহমেদ। তিনি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ছাত্র ছিলেন। এই ঘটনায় আহত অপর দুই সহপাঠী হলেনÑ মো. ইমতিয়াজ ও রনি চন্দ্র শীল। তবে হামলাকারী ও আহত ছাত্রদের দুইটি অংশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান শিক্ষার্থীরা। আহত হওয়ার পরপরই সোহেলকে প্রথমে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের বেসরকারি সিএসসিআর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়া ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সেখানে বিবিএ ৩১তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এই সময় অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে সোহেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কয়েকজন ছাত্রের। একপর্যায়ে সেখানে আহত ইমতিয়াজ ও রনি হাজির হলে এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে তা রূপ নেয় বাকবিত-ায়। প্রতিপক্ষ ছাত্ররা সোহেলকে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সোহেলের পক্ষ নিয়ে চট্টগ্রামের ওয়াসা ও প্রবর্তক মোড়ের আরেকটি ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় কতিপয় ছাত্ররা। এই সময় অন্তত ৫০টির বেশি দোকান ও প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ২০টির বেশি সিএনজি। রাস্তায় ব্যারিকেড ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার কারণে প্রায় দুই ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার অদূরে কেশ কয়েকটি ইভেন্ট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। আতঙ্গে লোকজন ছুটোছুটি করতে গিয়ে মাটিতে পড়ে আহত হন। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের একটি অংশ লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ির ওপর লক্ষ্য করে তা ছুড়তে থাকে। বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও দোকানের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অভিযুক্তদের খুঁজতে থাকে।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দামপাড়া ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা জানান, গতকাল সেখানে বিবিএ ৩১তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। এই সময় অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে সোহেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কয়েকজন ছাত্রের। একপর্যায়ে সেখানে আহত ইমতিয়াজ ও রনি হাজির হলে এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে তা রূপ নেয় বাকবিত-ায়। প্রতিপক্ষ ছাত্ররা সোহেলকে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সোহেলের পক্ষ নিয়ে চট্টগ্রামের ওয়াসা ও প্রবর্তক মোড়ের আরেকটি ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় কতিপয় ছাত্ররা। এই সময় অন্তত ৫০টির বেশি দোকান ও প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় ২০টির বেশি সিএনজি। রাস্তায় ব্যারিকেড ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার কারণে প্রায় দুই ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল।
নগরীর পাঁচলাইশ থানার অদূরে কেশ কয়েকটি ইভেন্ট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। আতঙ্গে লোকজন ছুটোছুটি করতে গিয়ে মাটিতে পড়ে আহত হন। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের একটি অংশ লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ির ওপর লক্ষ্য করে তা ছুড়তে থাকে। বেশ কয়েকটি ক্লিনিক ও দোকানের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অভিযুক্তদের খুঁজতে থাকে।