ডক্টর এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইন চীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: প্রায় এক ডজন নাগরিকের প্রানের বিনিময়ে শেষ হল স্থানীয় সরকার(ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপ। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ধাপ গুলোর কি হবে তা নিয়ে জনমনে আশংকা বেড়েই চলছে। তবে আত্মরক্ষার জন্য বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে ধানের শীষের অনেক প্রার্থী নৌকার নিকট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এতে নৌকায় বোঝাই হচ্ছে ধানের শীষ। ফলে সঙ্গত কারণেই নৌকার প্রতিদ্বন্ধী হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থী আওয়ামীলীগ বা মহাজোটের। এই সমীকরণে বিরোধী দলের প্রার্থী বিশেষ করে ধানের শীষ বোঝাই উন্নয়নের নৌকার কান্ডারী এখন পুলিশ।
সারাদেশে অনুসন্ধান করে জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তা জনিত কারণে অনেক ধানের শীষের প্রার্থী, প্রার্থীও হচ্ছেন না। আবার দলের কড়াকড়ি নির্দেশের কারণে প্রার্থী হয়েও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। অনেকে আবার ভোটের মারপ্যাচে নৌকার সুবিধার জন্য ধানের শীষের মিছিলও করছেন বীর দর্পে। অনুসন্ধান সূত্র বলছে, নৌকfর প্রয়োজনে ধানের শীষ ব্যবহৃত হচ্ছে ফলে গনতন্ত্র চর্চা হচ্ছে না। তবে কথিত ভোটের আবরণে চলছে উন্নয়নের নৌকা।
এ দিকে সরকারী দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গোপনে বিশেষ ভূমিকাও রাখছে। নৌকার পক্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে রাখার কারণে নির্বাচনী মাঠে যাওয়ার আগে প্রার্থীরা পুলিশের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ করছেন। বিশেষ করে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে থাকার জন্য পুলিশের সঙ্গে লিঁয়াজো করার পর মাঠে যাচ্ছেন। লিঁয়াজো না করলে বিরোধী প্রার্থী কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে যায়। লিঁয়াজো না করলে পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে বিরোধী কর্মীদের আটক করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করে। এতে প্রার্থীর সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় জনপ্রিয়তাও হ্রাস পায়। ফলে সকল দিক চিন্তা করে বিরোধী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে যাওয়ার আগে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মাঠে নামছেন।
এই অবস্থায় যতদিন যাচ্ছে নৌকায় বোঝাই হচ্ছে ধানের শীষ। আর ধানের শীষ বোঝাই নৌকার কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। গনতন্ত্রের এই অগ্রযাত্রা উন্নয়নের জোয়ারে কতদিন চলবে তাই এখন ভেবে দেখার বিষয়।