কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নে নির্বাচন চলছে। প্রথম দফায় ইসি ঘোষিত তফসিল মতে ২২ মার্চ এই দু’টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়।
রোববার সকাল ৮টায় এই দুই ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দু’ইউপিতে ১৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে রয়েছে ১৪১ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৫২ হাজার ৯১৯।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন জানান, গত ২২ মার্চ এই দুই ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও মামলার কারণে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্র ও হ্নীলা ইউনিয়নে ৯টি কেন্দ্রসহ ১৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ১৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৬৬ জন। ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৩৪ জন। এতে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৩২১ জন ও নারী ভোটার ১৩ হাজার ৭১৩ জন।
হ্নীলা ইউনিয়নে ১০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ২১ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৭৫ জন। ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৮৫ জন। এতে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৩৯৬ জন, নারী ভোটার ১২ হাজার ৪৮৯ জন।
স্থানীয়রা জানায়, দুইটি ইউনিয়নে ১৯টি কেন্দ্রই কম-বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থীর দাপট, ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী, কালোবাজারি ও চোরাচালানী হিসেবে চিহ্নিত বেশিরভাগ প্রার্থীদের পেশীশক্তি এবং কালো টাকার ছড়াছড়ি চলছে। এতে নির্বাচনকে ঘিরে ভোট উৎসবের পরিবর্তে সর্বত্র বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। তাই চরম আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেছবাহ উদ্দিন জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ভোটকেন্দ্রে চলতে দেয়া হবে না। সে বিষয়ে ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।