ঢাকা: প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের ব্যাখ্যা ও শো’কজ নোটিশের জবাব দিতে রোববার (২৭ মার্চ) ফের সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য আদালত অবমাননার মামলাটি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের এক নম্বর কার্যতালিকায় রয়েছে।
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম আবেদন করেছেন।
গত ৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে মীর কাসেমের মামলার আপিল শুনানি পুনরায় করার দাবি জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
এ বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশের পর গত ৮ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে তলব করেন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ জারি করেন। সরকারের এ দুই মন্ত্রীকে ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। অন্যদিকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয় ১৪ মার্চের মধ্যে। নোটিশে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- তা দুই মন্ত্রীর কাছে জানতে চান আপিল বিভাগ।
এ পরিস্থিতিতে দুই মন্ত্রীর পক্ষে গত ১৪ মার্চ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় নোটিশের জবাব দাখিল করা হয়। এছাড়া আদালতের তলবাদেশের প্রেক্ষিতে গত ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক হাজিরা দেন। তবে, বিদেশে থাকায় সেদিন হাজিরা দিতে পারেননি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২০ মার্চ ফের দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।
পরে ২০ মার্চ সকালে হাজির হন দুই মন্ত্রী। ওইদিন আপিল বিভাগ খাদ্যমন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন এবং ২৭ মার্চ দুই মন্ত্রীকে ফের হাজির হতে নির্দেশ দেন। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে আবারো নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন খাদ্যমন্ত্রী।
আদালতে শুনানিতে মোজাম্মেল হকের পক্ষে আইনজীবী রয়েছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। কামরুল ইসলামের পক্ষে আবদুল বাসেত মজুমদার।