ঢাকা : কাউন্সিল অধিবেশনের আগেই বিএনপির চেয়ারপারসন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। পরে তা কাউন্সিলে কণ্ঠভোটে অনুমোদন হয়। মাত্র দুই জন নতুন নেতা দিয়ে দিয়ে চলছে বিএনপির কার্যক্রম।
কাউন্সিল অনুষ্ঠনের প্রায় সপ্তাহ শেষ হতে চললেও নতুন নেতাদের নামের খবর নেই। পুরাতন কমিটির নেতাদের মধ্যে নেতৃত্ব শূন্যতা বিরাজ করছে। নতুন কমিটির বাকি মুখের অপেক্ষায় নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে যন্ত্রণা।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা রফিক সিকদার বলেছেন, ‘এখনও সাবেক হইনি। নতুন কমিটির কোথায় জায়গা হবে তাও জানি না। আশা করছি, একটা ভালো কমিটি উপহার পাব।’
নতুন কমিটির অপেক্ষায় নেতাদের মনে যন্ত্রণা অনুভূত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন কমিটির অপেক্ষায় আমাদের উচ্ছ্বাস রয়েছে। আমরা উদগ্রীব। শিগগিরই নতুন কমিটি হোক।’
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটি বিলম্বিত হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
বিএনপির মধ্যম সারির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘কাউন্সিলের আগেই চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। কাউন্সিল অধিবেশনে ন্যূনতম মহাসচিব ঘোষণার প্রত্যাশা ছিল, তাও হয়নি। সপ্তাহ শেষ হতে চলল, নতুন নেতাদের খবর নেই।’
বিএনপি নেতারা দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এক ধরনের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ রয়েছে দাবি করে এই নেতা বলেন, ‘আমাদের নতুন কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গেছে। কাউন্সিলে আমরাও নতুন পদে যাওয়ার জন্য চেয়ারপারসনের কাছে সকল ক্ষমতা দিয়েছি। সঙ্গত কারণে নৈতিকভাবে পুরাতন পদ আর সেই ভাবে ওন করা যায় না। আবার পদ না পাওয়া পর্যন্ত দলে নতুন পরিচয়ও হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘নেতাদের বাসায় কর্মীদের ভিড় থাকে। নতুন কমিটিতে পদ হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের জন্য পুরস্কার। কমিটি নিয়ে চেয়ারপারসন খুবই সতর্ক রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, স্থায়ী কমিটি বা পাশাপাশি পর্যায়ের কোনো সদস্য নতুন নতুন কমিটিতে একদম পেছনের সারিতে চলে গেছেন তার পেছনে কর্মীরা তাদের সময় নষ্ট করবে না। আবার পেছনে থাকা কোনো ত্যাগী নেতাকে সামনে আনলে কর্মীরা তাকে মূল্যায়ন করতে ভুল করবে না। কর্মীরা কোন নেতার রাজনীতির ছবক নিতে যাবে আর কোন নেতার কাছে গেলে তাদের ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়বে তা নিয়ে ভাবনাও রয়েছে।’
কমিটি ঘোষণায় বিলম্ব এবং এর জন্য নেতাদের মধ্যে নেতৃত্ব শূন্যতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেছেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য নেতারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন।’