নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন না করলে যে সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে- সে কথা আবারও মনে করিয়ে দিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে টেলিকম কোম্পানি এরিকসনের ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ পোর্টালের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তারানা হালিম বলেন, “আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা হচ্ছে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষ করব।
“এর মধ্যে যেসব সিম নিবন্ধন হবে না- সেগুলোর গ্রাহককে নিবন্ধনে বাধ্য করতে কয়েক ঘণ্টা করে সিম বন্ধ রাখা হবে।”
এরপরও সিম নিবন্ধন করা না হলে পর্যায়ক্রমে সেসব সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে এই নিবন্ধন কার্যক্রমে আপত্তি জানিয়ে এক ব্যক্তি হাই কোর্টে যাওয়ায় আদালত এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেছে। তবে কোনো স্থগিতাদেশ না থাকায় নিবন্ধন চালিয়ে যাচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।
রাষ্ট্রায়াত্ব মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্যোগের কথাও প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর টেলিটকের সিম, কাস্টমার কেয়ার, গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি রিব্র্যান্ডিং করেছি।”
টেলিটকের নেটওয়ার্ক যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে এবং সব পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এরপর উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “টেলিটকের প্রাথমিক বিনোয়াগ কম ছিল। প্রথমে যা বিনিয়োগ করা হয়েছে পরবর্তীতে তেমনভাবে বাড়ানো হয়নি।… আমরা চেষ্টা করছি সরকার থেকে ইনভেস্টমেন্ট করে টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নত করার। ”
নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনে ঋণ নেওয়ার চেষ্টার কথাও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান।
‘ইন্টারনেট অব থিংস’ পোর্টাল উদ্বোধনের আগে তারানা হালিম আগ্রাবাদ এলাকায় এরিকসনের অফিসও উদ্বোধন করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিজেল, এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. রাজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।