শরীরের অসুখ হলেই আমরা ছুটে যাই ডাক্তারের কাছে; কিন্তু যখন মনের সমস্যা নিয়ে বেশিরভাগ লোকজনই নিশ্চুপ থাকেন। কেন জানি মানসিক সমস্যার বিষয়টি এখনো আমাদের উপমহাদেশীয় সমাজব্যবস্থায় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। অনেকে আবার এসব বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে ‘পাগল’ ভাবেন।
পরে অবশ্য নিজ উদ্যোগে চিকিৎসকের পরামর্শ আর প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির জোরে স্বাভাবিক জীবন ও ছন্দে ফিরেন দীপিকা। এ নিয়ে একাধীকবার মিডিয়ার সামনে খোলাখোলি কথাও বলেছেন তিনি।
তাই অবসাদে ভোগা মানুষদের কষ্টটা ভাল করেই বুঝেন এ অভিনেত্রী। অবশেষে অন্যদের অবসাদ কাটাতে উদ্যোগী হলেন ‘বলিউড বিউটি’। অবসাদগ্রস্ততা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আসছে বুধবার ‘ইউ আর নট অ্যালোন’ নামে এক প্রচারণা শুরু করছেন দীপিকা।
এ বিষয়ে দীপিকা বলেন, গত বছর আমি অবসাদের বিরুদ্ধে নিজের লড়াইয়ের কথা বলেছিলাম। মানুষ এ ধরনের অবসাদে ভোগবে আর আমি বসে থাকব তা হতে পারে না। এজন্য ‘ইউ আর নট অ্যালোন’ নামে একটি সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করতে চাই যার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ-অবসাদের কারণ, লক্ষ্মণ ও ধরন বুঝার সক্ষমতা অর্জন করবেন। তরুণ বয়সে মানসিক ও আবেগীয় সমস্যার বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষ্যে আমরা স্কুলগুলোকে বিভিন্ন কাউন্সেলিং সংস্থার সঙ্গেও সংযুক্ত করতে পারি।
দীপিকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দ্য লিভ লভ লাফ ফাউন্ডেশনের’ উদ্যোগে ভারতের প্রায় পাঁঅচশ স্কুলে অবসাদ কাটাতে ‘কাউন্সেলিং’ করবে। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও ইন্ডিয়া টুডে