ঢাকা : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে কোনো পর্যায়ে আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না বলে ফের দাবি করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তারানা বলেন, ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কোনো পর্যায়ে গ্রাহকের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করা হচ্ছে না, শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। তাই তৃতীয় পক্ষের কাছে আঙ্গুলের ছাপ যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
বুধবার সচিবালয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে এক বৈঠকের আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি শক্তিশালী চক্র এ প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, যাতে এই কর্মসূচি ভেস্তে যায়।’
এর আগে গত ৬ মার্চ তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘একটি মহল এই অপপ্রচার চালাচ্ছে, যে এটা (বায়োমেট্রিক নিবন্ধন) বন্ধ হয়ে যায়, কারণ এ প্রক্রিয়া সফল হলে যারা অবৈধ ভিওআইপি করে কোটি কোটি টাকা কামাই করছে, চাঁদাবাজী করছে এবং সন্ত্রাসী কাজ করছে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে’।
সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অভিযোগ ওঠে অপারেটরদের সিম নিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করছেন। এ তথ্য বিদেশে পাচার হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, এ তথ্য পাচার হলে তা দেশে বিদেশে অপরাধীরারা অপব্যবহার করতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে উকিল নোটিশও পাঠানো হয়।
ভুয়া পরিচয়ে সিম কিনে তা নানা অপরাধ কর্মে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের কার্যক্রম চালু হয়। নতুন সিম কিনতেও আঙুলের ছাপ লাগছে।